কিশোরগঞ্জে দুই সরকারি দপ্তরে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড
Published: 24th, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসকের হিসাব শাখার গুদাম ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে শহরের আলোর মেলা এলাকায় জেলার পুরোনো কালেক্টরেট ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ও করিমগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, তিনিসহ ট্রাফিকের এসআই বিপ্লব, এএসআই সুরুজ্জামান ও কনস্টেবল মো.
সরেজমিন দেখা গেছে, লম্বা টিনশেড ভবনটির বিভিন্ন কক্ষের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের পানিতে ভিজে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের চাল দেবে গেছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার
আবুজর গিফারি জানান, তাদের ভোর ৪টা ২০ মিনিটে আগুনের খবর জানানো হয়। এর পর কিশোরগঞ্জ ও করিমগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
গত কয়েক মাসের মধ্যে জেলা শহরে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারি। তিনি বলেন, তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে তাঁর কাছে মনে হয়েছে শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। তিনি জানান, প্রায় ২০ দিন আগে তিনি জেলা প্রশাসকের পরামর্শে পুরোনো কালেক্টরেটের রেকর্ড রুমসহ কয়েকটি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। তাতে ওই ভবনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সংস্কারে তাঁর কিছু সুপারিশ ছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বাসরঘর থেকে আটক যুবক, ধর্ষণ মামলা
বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল যুবক আবুল কালাম। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। অথচ অন্যজনকে বিয়ে করে সে। অভিযোগ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বাসরঘর থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এক কিশোরীর (১৮) সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে আবুল কালাম (২৬)। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাঁকে ফেলে গত বুধবার অন্যজনকে বিয়ে করে কালাম।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে অভিযোগ স্বীকার করে সে। এর পর শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কালামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন। তাঁর মা ঢাকায় চাকরি করেন। এর মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে অভিযুক্ত আবুল কালাম। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী।
কিশোরীর মা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার বাড়িতে এসে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর সে কালামের কথা জানায়।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছে কালাম। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।