৯ বছর আগের ঘটনায় ২৮ জনের নামে মামলা
Published: 24th, January 2025 GMT
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নয় বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীর পায়ে গুলি করার অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, থানার ওসি, দুই এসআই ও চার পুলিশ সদস্যসহ ২৮ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা আদালতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লা ৮নং আমলি আদালতের বিচারক ফারহানার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বেলাল হোসেন মজুমদার।
তিনি উপজেলার দৌলখাঁড় ইউপির বাম (পন্ডিত বাড়ি) গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।
মামলাটি আগামী সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শুনানি হবে। যা আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, ওসি নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, এসআই বাবুর আলী, এসআই ফরিদ, পুলিশ সদস্য সামছুল হুদা, শাহ আলম, মোক্তার হোসেন ও আব্দুর ছাত্তারসহ ২৮ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিগত সরকারের আমলে বেলাল হোসেন মজুমদার নিজ এলাকায় একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। ওই সুবাদে বিভিন্ন সময় কোরআনের আলোকে মুসল্লিদের বোঝাতেন। এতে ওই আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুমন্ত অবস্থায় বেলাল হোসেন মজুমদারকে তার বাড়ি থেকে তুলে এনে থানায় আটকে রাখে।
পরে ভোর রাতে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের লুদুয়া নামক স্থানে বেলালকে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সর্বশেষ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওসি নজরুল ইসলাম আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাম পায়ে গুলি করে।
শুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এলে পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি করে আহত বেলালকে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার চিকিৎসকরা বেলালকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদি বেলাল হোসেন মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এসএসএস করা হলেও তার উত্তর দেননি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা জামায়াতের আমির জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
ঢাকা/রুবেল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।