বাংলাদেশ আন্তঃর্জিলা ট্রাক কর্ভারভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং বি- ১৬৬৫) পাগলা শাখার বৈষম্যমূলক নির্বাচন ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকবৃন্দ। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় পাগলা বাজার কাজী মার্কেট সংলগ্ন মো.

আলম মিয়া সভাপতিত্বে  বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তপন, মোহাম্মদ উবাইদুর রহমান উবায়েদ, মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী মিন্টু, মোহাম্মদ শফিকুর রহমান শফি,
মোহাম্মদ জসিম শিকদার, মোহাম্মদ হাফিজ শেখ, মোহাম্মদ বাবু আহমেদ, মো. সোহেল রানা, মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া, মোহাম্মদ আলী বাবু, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক ইউনিয়ন পাগলা শাখা সন্ত্রাসী পলাশের নেতৃত্বে তার বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো। শ্রমিক নেতা পলাশ একজন রক্তচোষা নেতা, যে কিনা শ্রমিকের রক্ত চুষে শ্রমিক নেতা হয়েছেন। 

বিগত আন্তঃজিলা পাগলা শাখার নির্বাচনে আমরা ২০ থেকে ২২ জনের মত প্রার্থী নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র কয় করি, এরপরেই পলাশ এবং তার বাহিনীর আবুলের নেতৃত্বে নির্বাচনকে বানচাল করতে নানান তালবাহানা করেন।

নির্বাচনের নামে বৈষম্য সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের একটি নিজস্ব টার্মিনাল ছিল, সেটি ছিল তালতলায়। সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকের রক্তচোষা নেতা সন্ত্রাসী পলাশ এবং তার বাহিনী আবুল, হানজালার নেতৃত্বে সেই নির্বাচন তাদের পথে নেওয়ার জন্য আলিগঞ্জ খেলার মাঠ কে ভোটকেন্দ্রে বানায়। 

আপনারা নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা জানেন আলীগঞ্জ মাঠের সেই নির্বাচনের কথা, ভোট সন্ধ্যায় শেষ হলেও ভোট গণনা শেষ হয় সেই গভীর রাতে সেখানে আওয়ামী লীগের দোসর শ্রমিকের রক্ত চোষা  নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের নেতৃত্বে আবুল হোসেন ও তার সহযোগী হানজালা আমাদের অনেক প্রার্থীকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি। 

আমাদের উপরে আলিগঞ্জ ভোটকেন্দ্রে কয়েক দফা হামলা করা হয়েছিল, সেই সময় আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাহার করেছিলাম, আপনারা সাংবাদিকরা বলতে পারেন তখন কেন আপনারা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলেন নি, আপনারা জানেন বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি শ্রমিক নেতা পলাশ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে একটি শ্রমিক সংগঠনকে তার হাতে জিম্মি করে রেখেছিল। 

তারি ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট এর পর দেশ যখন স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে আমরাও সেই নির্বাচন প্রত্যাহার এবং আন্তঃজিলা পাগলা শাখার বর্তমান যে কমিটি হয়েছে আমরা তা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং আমরা অচিরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তঃজিলা  পাগলা শাখার নতুন নেতৃত্ব চাই।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আপন র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।

জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ