আড়াইহাজারে আবারও দুই বাড়িতে ডাকাতি
Published: 24th, January 2025 GMT
আড়াইহাজারে আবারো দুই বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদি গ্রামের রুযেল ও লিয়াকতের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে সালমদি গ্রামের পাওয়ারলুম ব্যবসায়ী রুয়েলের বাড়ীতে ১০/১৫ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে নগদ এক লক্ষ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়।
অপরদিকে একই গ্রামের লিয়াকত হোসেনের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। পরে ডাকাত দল ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হানা দিলে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের জের, মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়াল দুই এলাকার মানুষ
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কয়েক দফার এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক নারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন কিশোর গোপনে তাঁদের ছবি তোলেন ও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা–মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরেরা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি চোখে পড়লে প্রতিবাদ জানান চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। এরপর কয়েকজন তাঁদের মারধর করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টাখেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আলমগীরকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ঘটনার পর দুই পক্ষের মানুষ মাইকিং করে লোকজন ডাকে। এরপর দুই পক্ষের শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক বলেন, গোপনে মা-মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। আজ চিলমারীর একজন কৃষক জমিতে কাজ করতে গেলে সুন্দরগঞ্জ শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনায় দুই এলাকার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, উভয় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।