সিদ্ধিরগঞ্জে কথিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
Published: 24th, January 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে এক নারীর মালিকানাধীন তিনটি দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে তার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে গোলাম রাব্বানি (৭০) নামে কথিত এক বিএনপি নেতা ও তার ছেলে রুবেল মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি এবং ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট হয় বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী নারী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সকাল ৭টায় মিজমিজি ধনু হাজী রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানি সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লার মৃত হাজী তোরাব আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলাম রাব্বানী ও তার ছেলে রুবেল মিয়ার নির্দেশে ১৫-২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, ধারালো ছোড়া, চাপাতি, কোদাল, এসএস পাইপ, হামার নিয়ে ধনুহাজী রোড এলাকায় তার তিনটি দোকান ভাঙ্গচুর করে। পরে ভুক্তভোগীরা ঘটনাস্থলে আসলে বিবাদীরা বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
ভাংচুরে জড়িত থাকা ইব্রাহিম স্বীকার করে বলেন, আমাকে গোলাম রাব্বানী টাকা দিয়েছে এটা ভাঙ্গার জন্য। তাই আমি এটা ভেঙ্গে দিয়েছি। এর থেকে বেশি আমি আর কিছু জানিনা।
তিনি আরও বলেন, আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে কার নির্দেশে ভাঙ্গা হয়েছে? আমি ওসি স্যারকেও বলেছি, গোলাম রাব্বানীর নির্দেশে ভাঙ্গছি।
এ বিষয়ে জানতে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এলাকাবাসী জানান, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। ভয়ে তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিএনপির কোনো পদে নেই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা কেউই তাকে চিনেন না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ভাংচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একজন আমার কাছে স্বীকার করেছেন, রাব্বানীর নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী সকালে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’