বন্দরে মাদক বিক্রি করতে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের বাবা-ছেলে ও মেয়েকে  পিটিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী)   বিকালে বন্দর উপজেলার  লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় খাজা আব্দুর  রশিদের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

হামলাকারীরা আহত খাজা আব্দুর  রশিদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে  নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোটরসাইকেল সহ ৮ লাখ টাকার মালামাল  লুটে নিয়ে গেছে  মাদক কারবারি সিন্ডিকেট।  এ ঘটনায় আহত  জনি বাদী হয়ে  মাঈনুল, পারভেজ ও মিলন হোসেনসহ ৬জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  বৃহস্পতিবার রাতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে,বন্দর  উপজেলা মুছাপুর ইউপির পিচকামতাল গ্রামের কানার বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন হোসেনের ছেলে মাঈনুল লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকায় খাজা আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে  ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সকালে  মঈনুলকে ইয়াবা বিক্রি করতে বাধা দেয় খাজা রশিদ।

পরে  মঈনুল তার ভাই  পারভেজ ও মিলন হোসেন সহ ১০/১২ জন মিলে খাজা রশিদের  বসত বাড়িতে হামলা চালায়।  এসময় হামলাকারীরা  খাজা রশিদকে মারধর শুরু করলে বাবাকে বাঁচাতে তার  মেয়ে  রুজিনা (৩৫) এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে।

এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বসত ঘরে অনধিকারে প্রবেশ করে  ঘরের আলমারীর ড্রেয়ার খুলে  রক্ষিত নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা, ১ জোড়া স্বর্ণের জিনিস ও  ঋত ঠঢ৪ একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর সহ  ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে মাদক কারবারি সিন্ডিকেট।  

আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছেন।  কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম জানান,  অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।  এসময় ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ একটি মোটরসাইকেলটি  উদ্ধার করা হয়েছে।  বিষয়টি আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ