বিবাদমান দুটি পক্ষের বসা উচিত : মান্না
Published: 24th, January 2025 GMT
নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা একটা ক্রান্তির পথে আছি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে কোনও কিছুই বাধা হতে পারবে না। এখনই বিবাদমান দুটি পক্ষের বসা উচিত।
তিনি বলেন, ঝগড়াটা যারা করছে তাদের একদিকে আছেন মির্জা ফখরুল, আরেকদিকে আছে আরেকজন। বসা উচিত। এমন যদি চলতে থাকে তাহলে দুটি পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়াবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর আলী আহমদ চুনকা মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জে জেলা নাগরিক ঐক্যের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি এস এম আকরামের স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে সবাই আছে। আমি রাজনীতি করি। চেষ্টা করবো রাজনীতিতে থাকার। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রতিপক্ষ ছিল ওবায়দুল কাদের। তিনি কোথায় ছিলেন, আমি কোথায় ছিলাম। আজ তিনি কোথায়, আমি কোথায়। তিনি আমাকে বলতেন সারাজীবন এত সংগ্রাম করলেন কিছু করতে পারলেন না। আমি মাহমুদর রহমান মান্না আর তিনি ওবায়দুল কাদের, পরের বিশেষণটা বললাম না। আমি অনেক ভাল আছি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী যিনি ছিলেন তিনি বলতেন, দেশের কী উন্নতি হচ্ছে দেখছেন না। আমার পিওনও চারশো কোটি টাকার মালিক। সেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনারা জানতে চাইবেন না, কীভাবে আপনার পিওন চারশো কোটি টাকার মালিক হলো?
দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর সভাপতিত্বে ও জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি সিদ্দিক, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বাসদের সাবেক সমন্বয়ক আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র রহম ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার
ইন্দুরকানীর নিখোঁজ কিশোর সাব্বির হোসেনকে ছয় দিন পর ঢাকার নারায়ণগঞ্জের এক রিকশাচালকের বাসায় পাওয়া গেছে। তিন দিন আগে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন ওই রিকশাচালক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে আটো গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় অটোতে থাকা অজ্ঞান পার্টির লোকজন তাকে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গভীর রাতে সাব্বিরকে পরে থাকতে দেখে রিকশাচালক আব্দুর জব্বার তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে যায়। তিন দিন পর তার জ্ঞান ফেরে। শনিবার বিকেলে সাব্বির ফোন করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।
সাব্বিরের বাবা জলিল শেখ বলেন, ছেলের খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। খুব চিন্তায় ছিলাম। তাকে অজ্ঞান পার্টি ধরেছিল। এক রিকশাচালক ভাই তাকে উদ্ধার করেছে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, নিখোঁজ সাব্বিরকে ঢাকায় পাওয়া গেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।