চট্টগ্রামের রাউজানে শুক্রবার দুপুরে শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বেলা ১টার দিকে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আছাদ আলী মাতব্বর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম ওই এলাকার মৃত আবু ছৈয়দ মেম্বারের ছেলে। নগরীর চাক্তাইয়ে জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামে তাঁর একটি শুঁটকির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াপাড়ায় মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টার নামে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

একই ঘটনায় আব্বাস উদ্দিন (২৭) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি নিহত জাহাঙ্গীরের ভাগনে এবং মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক। তিনি বর্তমানে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ দিদার আলম জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে এসেছেন। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে নগরীতে বসবাস করেন। প্রতি শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে এসে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সেই ধারাবাহিকতায় মোটরসাইকেলে ভাগনে আব্বাস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ হতাহতের ঘটনা তদন্ত করছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষে অন্তত ২৬টি সংঘর্ষ ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ ও মুন্সিরঘাটায় দুই দফা সংঘর্ষ হয়। তবে নিহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত ছিলেন না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়’

‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য নয়।’ আদালতে এসব কথা বলেছেন মডেল মেঘনা আলম। 

বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। 

‘সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার’ অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আজ মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তাঁর কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শুনানিতে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’ 

এ সময় মেঘনা আলমকে ‘মেঘলা’ আলম সম্বোধন করায় শুনানির এক পর্যায়ে আসামি মেঘনা তাঁর নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে আইনজীবীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’

এদিকে দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একইসঙ্গে দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ 
এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। কথা বলতে নিষেধ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়
  • সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়
  • ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়’
  • প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মডেল মেঘনা আলমকে
  • এবার চাঁদাবাজির মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো