সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি আনিসুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব। 

বৃহস্পতিবার রাতে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে প্রেস ক্লাবের মাসিক সভায় কার্যনির্বাহীর কমিটির এ নিন্দা জানায়। এ সময় কার্যনির্বাহী কমিটি আনিসের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। 

সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় নির্বাহীর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী তিন দিনের মধ্যে আনিসের উপর আমলা কারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয় অন্যথায় সোনারগাঁও প্রেসক্লাবসহ সোনারগাঁয়ের সকল সাংবাদিক একত্রিত হয়ে কঠোর আন্দোলনের নামা হবে বলে জানানো হয়েছে।  
সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাউদ্দিন জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নেক্কারজনক এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায়  আনতে হবে অন্যথায় সোনারগাঁ সকল সাংবাদিক মহল একত্রিত হয়ে এ হামলার কঠিন জবাব দিবে। 

উল্লেখ্য গত ২০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ভূমি অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক মো.

আনিছুর রহমান। এ ঘটনায় সাংবাদিক আনিছুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে ৪ জনকে বিবাদী করে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

আহত সংবাদিক আনিছুর রহমান বলেন, আমি পেশাগত কাজে উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে। হামলার পূর্বে সোনারগাঁও পৌরসভার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক ও তার ভাই হাসনাইন আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।

তার আরেক ভাই মাহাবুবুর রহমান ও রায়হান হত্যা মামলার আসামী মোহন আমাকে পিটিয়ে মারাক্তকভাবে আহত করে। এক পর্যায়ে টেনে হেঁচড়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।  

সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। দায়ীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ