চট্টগ্রাম পর্ব শেষে রান ও উইকেট শিকারীদের শীর্ষে যারা
Published: 24th, January 2025 GMT
গত ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের উত্তেজনা চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে আবার ঢাকায় ফিরেছে। এবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লিগ পর্বের বাকি ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার থেকে শনিবার পর্যন্ত।
এবারের বিপিএলে সাতটি দল অংশ নিচ্ছে। লিগ পর্বের ৪২ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩২টি ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সব দলই অন্তত ৮টি করে ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালস ১০টি ম্যাচ শেষ করেছে। খুলনা টাইগার্স, চিটাগং কিংস, এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স খেলেছে ৯টি করে ম্যাচ। একমাত্র ফরচুন বরিশাল ৮টি ম্যাচ খেলেছে।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দলটি ৯ ম্যাচে ৮ জয় ও ১ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ৮ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিটাগং কিংস, যারা ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও ৪ হারে সংগ্রহ করেছে ১০ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪ জয় ও ৫ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টাইগার্স রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
রাজশাহী দল ১০ ম্যাচে ৬ হার ও ৪ জয়ে সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ঢাকা ক্যাপিটালস ১০ ম্যাচে ৩ জয় ও ৭ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে। ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয় ও ৭ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে রান সংগ্রাহক এবং উইকেট শিকারীর তালিকায় বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আধিপত্য চোখে পড়ছে। বোলিংয়ের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন ৩ জন বাংলাদেশি, আর শীর্ষ দশে রয়েছেন ৭ জন। অন্যদিকে ব্যাটিংয়ের শীর্ষ পাঁচে ৪ জনই বাংলাদেশের। শীর্ষ দশের তালিকায় ৭ জন বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের উপস্থিতি দেশীয় ক্রিকেটের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিচ্ছে।
ব্যাটিংয়ের শীর্ষ ৫ এ রয়েছেন যারা:
তানজিদ হাসান তামিম (ঢাকা ক্যাপিটালস), ১০ ম্যাচ ৪২০ রান, সর্বোচ্চ ১০৮ রান।
এনামুল হক বিজয় (দুর্বার রাজশাহী), ১০ ম্যাচ ৩৭৯ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০০ রান।
লিটন দাস (ঢাকা ক্যাপিটালস), ৯ ম্যাচ ৩৪৮ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৫ রান।
জাকির হাসান (সিলেট স্ট্রাইকার্স), ৯ ম্যাচ ৩৪২ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রান।
গ্রাহাম ক্লার্ক (চিটাগং কিংস), ৮ ম্যাচ ৩৩৫ রান, সর্বোচ্চ ১০১ রান।
বোলিংয়ের শীর্ষ ৫ এ রয়েছেন যারা
তাসকিন আহমেদ (দুর্বার রাজশাহী), ১০ ম্যাচ ২২ উইকেট, সেরা বোলিং ৭/১৯।
আকিফ জাভেদ (রংপুর রাইডার্স), ৭ ম্যাচ ১৫ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/৩২।
আবু হায়দার রনি (খুলনা টাইগার্স), ৮ ম্যাচ ১৫ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/৪৪।
খুশদিল শাহ (রংপুর রাইডার্স), ৯ ম্যাচ ১৪ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/১৮।
আলিস আল ইসলাম (চিটাগাং কিংস), ৮ ম্যাচ ১২ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/১৭।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ক য প ট লস ১০ ম য চ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, করলেন মামলা
২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘বিজয়’ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। বুধবার তিনি বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
এর আগে ১৭ এপ্রিল একই দাবি জানিয়ে মামলা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির। তার পক্ষে ভোট দেখানো হয় ৩৩ হাজার ৮২৮টি। তার মামলা গ্রহণ করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত জানাবে।
অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, তাদের মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত পরবর্তী তারিখে জানাবে। তবে বিকাল পর্যন্ত পরবর্তী তারিখ ধার্য হয়নি।
ইকবাল হোসেন তাপস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। তিনি সিটি নির্বাচনে ৬ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়েছিলেন বলে জানানো হয়। ওই নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই।
তাপস মামলায় অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হতেন। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের কর্মীদের শহরে এনে জড়ো করেছিলেন। তারা ভোটের দিন সব কেন্দ্র দখলে নেয়। ইভিএমে নৌকা প্রতীকে চাপ দিতে ভোটারদের বাধ্য করেন। তিনি (তাপস) সকাল সাড়ে ১০টায় কাউনিয়া শের-ই-বাংলা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম কক্ষে এক বহিরাগতকে হাতেনাতে ধরলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে মুফতি ফয়জুলকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাধারণ নাগরিক ব্যানারে গত শুক্রবার থেকে নগরীতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। আজ বিকালে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।