সিলেট মহানগরের বিভিন্ন স্থানে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

জরুরি কাজের জন্য বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও ২ এর আওতাধীন এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি শুক্রবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা।

বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আওতাধীন এলাকার মধ্যে নগরীর যতরপুর, মৌবন আবাসিক এলাকা, ঝেরঝেরিপাড়া, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, টিলাগড়, এমসি কলেজ, মৌচাক, পুষ্পায়ন, ভাটাটিকর, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, চালিবন্দর, কাস্টঘর, বন্দর বাজার রোড, বঙ্গবীর, জেলরোড, আমজাদ আলী রোড, লালদিঘীরপাড়, হকার্স মার্কেট, কালিঘাট, পাইলট স্কুল, মেন্দিবাগ, নোয়াগাও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, টুলটিকর, মিরাপাড়া, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, ডুবড়ী হাওর, ফুলতলী মাদ্রাসা, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

একই দিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন ঘাসিটুলা, জল্লারপাড়, লালাদিঘীরপাড়, কলাপাড়া, কীনব্রিজ, সার্কিট হাউজ, নবাব রোড, পুলিশ লাইন্স, মির্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়, রামের দিঘীরপাড়, সুরমা মার্কেট, তোপখানা, লালাদিঘীরপাড়, নবাবরোড, ঘাসিটুলা, মজুমদারপাড়া, শামিমাবাদ, কানিশাইল, বেতের বাজার, কলাপাড়া, টিকর পাড়া, শেখঘাট, কীন-ব্রীজ, সার্কিট হাউজ, কোর্ট পয়েন্ট, কাজিরবাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, তেলিহাওড়, তালতলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, ভাতালিয়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, মুন্সীপাড়া, সাগরদিঘীর পাড়, মিরের ময়দান, পুলিশ লাইন, বর্ণমালা পয়েন্ট, মনিপুরি বস্তি, সুবিদবাজার, টুকেরবাজার, পীরপুর, তেমুখি, বলাউড়া, আউসা, শাহপুর, নোয়াপাড়া, টুকেরগাঁও, গৌরীপুর, গোপাল, খিত্তারগাঁও, ফতেহপুর, মোল্লারগাঁও, লামাকাজী, মাহতাবপুর, কুমারগাঁও, বিজিবি ক্যাম্প, করেরপাড়া, পনিটুলা, নোয়াপাড়া, কালিবাড়ী রোড, গ্রীন সিটি, হাওলাদারপাড়া, ব্রাহ্মণশাসন, সতীশ চন্দ্র সরণি রোড, সৎসঙ্গ বিহার, বিজিবি, কুমারগাঁও, বাসস্ট্যান্ড, তেমুখী, কুমারগাঁও, নাজিরেরগাঁও, মইয়ারচর, চাতল, টিলাগাঁও, বড়গুল, ডলিয়া, পাঠানটুলা, সুরমা গেইট, বিজিবি ক্যাম্প, আনসার ক্যাম্প, তারাপুর, শ্রাবণী, নিকুঞ্জ, লতিফ মঞ্জিল, পল্লবী আবাসিক এলাকা, মদিনা মার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও হোস্টেল, নরসিংটিলা, এতিম স্কুল রোড, আখালিয়াঘাট, দুদক অফিস, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, আলী বাহার চা বাগান, জাহাঙ্গীরনগর, পোড়াবাড়ী, ইসলামপুর, লাখাউরা, উত্তর বালুচর, বিজিবি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। 

সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল

গাজায় সব মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছে হামাস। 

নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকে গাজায় আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে গাজায় হঠাৎ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেখানকার মানুষ ময়দা, রুটি যা পারছে তাই খুঁজছেন। যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা যায়। পণ্য সরবরাহ বন্ধ করায় আবারও না খেয়ে থাকায় শঙ্কায় পড়েছেন গাজাবাসী। 

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও, এখনই হামলায় যাচ্ছে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে রমজান মাসে যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • দুইদিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ২ মাস চলে গেল, আর কবে বই পাবে শিক্ষার্থীরা
  • বিকাশ–রকেট–ডেবিট কার্ডে কেন মেট্রোরেলের রিচার্জ সুবিধা চালু হচ্ছে না
  • গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধে জাতিসংঘ ও আরব দেশের নিন্দা
  • অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে
  • রমজানে লোডশেডিং বন্ধে সবার সহযোগিতা চাইলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
  • ভোজ্যতেল নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছেই
  • গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল