বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার গুলশানে নজরুল ইসলাম আজাদের বাসভবনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

এসময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে নবগঠিত মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন,  যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন,জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.

শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ল ইসল ম র রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

যানজট কমায় শহরে স্বস্তি

জমি বেচাকেনার ব্যবসা করেন বাদশা মিয়া। বাসা শহরের মাসদাইর লিচুবাগে। ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই দিনে কয়েক দফা নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতায়াত করতে হয় তাঁকে। এ সময় প্রতিটি দফায় শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে এক-দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। গতকাল রোববার তিনি সারাদিনে ছয়বার আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু তেমন যানজটে পড়তে হয়নি। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, রমজানে শহরের যানজট নিরসনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। তাদের আর্থিক সহায়তায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সম্মানীর বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর সুফলও মিলেছে হাতেনাতেই।
রোববার বিকেলে চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় কথা হয় বাদশা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ‘গত কয়েক দিন শহরে এত যানজট ছিল, চাষাঢ়ার দিকে গেলে নিতাইগঞ্জ বা শহরের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার কথা ভাবতেও কষ্ট হতো। কিন্তু আজ রোজার প্রথম দিন হলেও যানজট ছিল বেশ কম। ব্যক্তিগত কাজে শহরের দুই প্রান্তে সারাদিনে ছয়বার আসতে ও যেতে হয়েছে। কিন্তু কোথাও যানজটে বসে থাকতে হয়নি। একবার শুধু ২ নম্বর রেলগেটে ট্রেনের সিগন্যালে পড়েছি। এ ছাড়া শহরে আজ যানজট ছিল না।’
তাঁর বক্তব্যের সত্যতা মেলে শহরের মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম মুন্নার কথায়। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। মাজহারুল ইসলাম বলেন, জামতলা থেকে চাষাঢ়া যেতে প্রতিদিন যানজটে পড়া স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ তেমন যানজট ছিল না। বেশ শৃঙ্খলা ছিল সড়কে।
নগরীর বাবুরাইলের বাসিন্দা তানিয়া তান্নি ও পাইকপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার রোকন উদ্দিন আরমানের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। তারা বলেন, যানজট নিরসনে প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে বলে শুনেছেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রোববার নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের লোগো দেওয়া হলুদ জ্যাকেট পরা কর্মীদের দেখেছেন। তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন। যে কারণে আজ ভোগান্তি অনেক কম ছিল। 
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি (অর্থ) ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সোহেল সারোয়ার বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে এই মুহূর্তে বড় সমস্যা দুটি– যানজট আর নিরাপত্তাহীনতা। রোজায় যানজট আরও তীব্র হয়। এ সমস্যা সমাধানে বিকেএমইএ ২০ লাখ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করছে। এই টাকায় ১৩০ জন সাধারণ কর্মী, ৪০ জন ছাত্র ও ১০ জন তদারকিকে সম্মানী দেওয়া হবে। তারা 
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিয়ন্ত্রণের 
কাজ করছেন। 
রোজার প্রথম দিনে যানজটমুক্ত শহর উপহার দেওয়ায় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি সিদ্দিক বলেন, রোজার প্রথম দিনে এমনিতেই যান চলাচল কম থাকে। মানুষ প্রথম ইফতার বাসায় করতে চান। সে কারণেও শহর সন্ধ্যায় ফাঁকা হয়ে যায়। ১০ রোজার পর থেকে যানজট বাড়তে থাকে। মানুষ রাস্তায় নামতে থাকেন। ফুটপাত, রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসানো বেড়ে যায়। রোজার শেষ দিন পর্যন্ত প্রশাসন তৎপর থাকবে বলে তিনি আশা করছেন।
রোজার শেষ দিন পর্যন্ত এই কর্মসূচির পাশাপাশি প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘দ্বিগু বাবুর বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া মীর জুমলা রোড কয়েক দিন ধরেই আমরা খোলা রাখতে পেরেছি। নগরীতে অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফুটপাতের দোকানপাটও নিয়ন্ত্রিত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশের সহায়তায় রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিও চলছে।’ তবে রোজার শেষ দিন পর্যন্ত যানজটমুক্ত নারায়ণগঞ্জ পেতে নগরবাসীকে আন্তরিক সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলে আলটিমেটাম
  • পরিবেশবান্ধব ভেগান লেদার উদ্ভাবন করে সাড়া জাগালেন নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থী সাদিয়া
  •  নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
  • সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী ক্যাডার দেলু প্রকাশ্যে, আতংকে এলাকাবাসী  
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির মাঝে ফ্রি থেরাপী সেবা প্রদান
  • নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ৮ জন দগ্ধ
  • যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলি, পথচারী আহত
  • যানজট কমায় শহরে স্বস্তি
  • ডুয়েটে ছাত্রদলের নতুন কমিটি থেকে সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ
  • ডুয়েটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ