বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকা রাখায় ‘সোয়ান’ পুরস্কার পেলেন ১৬ জন
Published: 24th, January 2025 GMT
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মোট ১৬ জন পেলেন বিশেষ স্বীকৃতি। এর মধ্যে ১৩ ব্যক্তি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যপ্রাণী উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটির ৩ জনকে দেওয়া হয়েছে স্মারক পদক ও সনদপত্র।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর ন্যাশনাল বোটানিকাল গার্ডেনের অডিটরিয়ামে ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ ওয়াইল্ড অ্যান্ড ন্যাচার (সোয়ান)।’
সংগঠনটির সভাপতি ও চিত্রনায়ক আদনান আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বনরক্ষক (বন্যপ্রাণী) ইমরান উদ্দিন আহমেদ।
আরো পড়ুন:
বাঁচার জন্য প্রয়োজন নির্মল বায়ু, পানি ও মাটি: পরিবেশ উপদেষ্টা
বছিলা নদীপাড়ে ওয়াকওয়ে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেন, প্রাণী সংরক্ষক এবং লেখক সরওয়ার পাঠান, প্রাণী সংরক্ষক, গবেষক এবং লেখক আশিকুর রহমান সমী, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত, চলচিত্র পরিচালক মেহেদি হাসিব।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সোয়ানের উপদেষ্টা ও রাইজিংবিডি ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি কিসমত খোন্দকার, চলচিত্র অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা প্রমুখ।
বিপুলসংখ্যক বন্যপ্রাণী সম্পর্কে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা পাখি খোঁজার প্রতিযোগিতায় নামেন। এ সময় তারা পাখি গণনা করেন এবং নাম শনাক্ত করেন।
কয়েকটি গ্রুপে সোয়ান আয়োজিত প্রতিযোগিতায় যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তারা হলেন-
১.
২.ড.আনিসুজ্জামান মেমোরিয়াল ওয়াইল্ডলাইফ এন্থাথিয়াস্টস অব দি ইয়ার আশিকুর রহমান শমি।
৩. বেস্ট ওয়াইল্ডলাইফ অরগানাইজেশন অব দি ইয়ার সেভ টি ন্যাচার অব বাংলাদেশ।
৪.বেস্ট ওয়াইল্ডলাইফ জার্নালিস্ট অব দি ইয়ার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন।
৫.মাদার অব অ্যানিমাল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড নাইলা নাইম।
৬.বেস্ট ওয়াইল্ডলাইফ ইনফ্লুয়েশিয়ার অব দি ইয়ার ডগগো সেজ।
৭.বেস্ট ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেটর (সরকারি চাকরিজীবী) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন ঢাকা ফরেস্ট ডিভিশনের ইন্সপেক্টর নিগার সুলতানা।
৮.বেস্ট আরবান বার্ড স্যানচ্যুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মিরপুর ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন।
৯. অ্যাম্বেসেডর অব ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি সোফিয়া জামান এবং বেস্ট অথার অন ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাওয়ার্ড ফরিদি নুমান।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ান টিম হিসেবে সোয়ানের তিনটি টিমকে তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আদনান আজাদ তিনটি এক্সেলেন্সি পুরস্কার দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন বেস্ট ওয়াইল্ড রেসকিউয়ার কামরুন নাহার কণা, রাজশাহীর সোয়ান টিম এবং এনিমাল সারভাইবর অ্যাওয়াড পেয়েছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের সোয়ান টিম।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর সেন্টমার্টিনে বেশ কিছুদিন পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করে। এ অবস্থায় দ্বীপে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক কুকুর খাদ্যাভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। সে সময় সোহানের টিম বিষয়টি সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে কুকুরদের খাদ্য যোগান দিতে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং তারা কুকুরদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়। সময়োপযোগী এই পদক্ষেপের অবদান হিসেবে সোহানের সেন্টমার্টিন দ্বীপের টিমকে সম্মানিত করা হয় বলে অনুষ্ঠানে সভাপতি আদনান আজাদ জানান।
মাদার অব অ্যানিমাল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড নাইলা নাইম সম্পর্কে জানা যায়, তিনি পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। এছাড়া তিনি একজন মডেল ও অভিনেত্রী। ২০ বছর ধরে তিনি নিভৃতে আশ্রয়হীন পথ কুকুরদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছেন। প্রতিদিন তিনি ৩ হাজারের বেশি কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন। ২০২০ সালে ঝুঁকি নিয়ে তিনি প্রতিদিন কুকরদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আলোচনায় আসেন। এই স্বীকৃতি হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে আদনান জানান।
ফরিদি নুমান একাধারে চিত্রশিল্পী, ওাইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার এবং লেখক। সুন্দরবনে বাঘের মুখোমুখি হয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন একটি বইয়ে। এছাড়া সুন্দরবনের পাখি নিয়ে তার আরো একটি বই রয়েছে, যা নবীন ফটোগ্রাফারদের প্রেরণা দেবে বলেও জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সোয়ানের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “দিন দিন আমাদের অনেক বন্যপ্রাণী হারিয়ে গেছে। অনেক পাখি বিপণ্ন এবং অসচেতনতার অভাবে যে হারে পাখি শিকার করা হচ্ছে তাতে অতি দ্রুত আমাদের পরিবেশ বিপণ্ন হয়ে পড়বে।”
এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সোহানসহ অন্যান্য সামজিক সংগঠনকে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তারা বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ ক ত হয়
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মাপাড়ের মাটি বিক্রি করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা, হুমকিতে পুলিশ একাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মাপাড়ের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে। এতে একদিকে হারিয়ে যাচ্ছে চাষিদের ফসলের জমি, অন্যদিকে লাগাতার পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, বিজিবি ক্যাম্প, স্লুইসগেট, চারঘাট থানা, ভূমি অফিস, গুচ্ছগ্রামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এ ব্যাপারে ১৫ এপ্রিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ করেছেন বড়াল রক্ষা আন্দোলন ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এস এম মিজানুর রহমান। এ ছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি চারঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বড়াল নদের উৎসমুখে পদ্মাপাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করার ভয়াবহতা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে এলাকাটি অবৈধ দখলদারের হাত থেকে উদ্ধার করে চারঘাটের ঐতিহ্য খয়েরবাগান সৃজন এবং একটি মিনি শিশুপার্ক নির্মাণের প্রস্তাব করেন।
উপজেলা ভূমি অফিসের প্রতিবেদন ও উপদেষ্টা বরাবর দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাপাড়ের মাটি কেটে বিক্রি চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মতলেবুর রহমান ওরফে মতলেব। তাঁকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা বিএনপির একজন নেতা। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি কেটে শত শত ড্রামট্রাকে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনায় পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারঘাট বাজারের স্লুইসগেট সংলগ্ন পদ্মা ও বড়াল নদের মোহনা বালুমহাল হিসেবে সরকার প্রতিবছর ইজারা দিত। কিন্তু বালু তোলার কারণে ক্যাডেট কলেজ, পুলিশ একাডেমিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে পড়ায় উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় দুই বছর ধরে বালুমহালের ইজারা বন্ধ আছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বালুমহাল সংলগ্ন পদ্মাপাড়ের জায়গাগুলো নিয়ন্ত্রণে নেন যুবদল নেতা মতলেবুর রহমান। সেখান থেকে নদীপাড়ের মাটি কেটে বিক্রি শুরু করেন। স্থানীয় প্রশাসন সেখানে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও মতলেব ও তাঁর লোকজন বালু তোলা বন্ধ করেননি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে মাটি কাটার জায়গাটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা সেখানে সরকারি খাসজমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। এ সময় জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্প ‘ইনোভেশনস ফর ক্লাইমেট-স্মার্ট আরবান ডেভেলপমেন্টের’ প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙন রোধে সেখানে চারঘাটের ঐতিহ্যবাহী খয়েরগাছ রোপণের মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এদিকে ওই দিন দুপুরে গাছের চারা রোপণের পর রাত থেকেই আবারও মাটি কাটা শুরু হয়। মাটি পরিবহন করতে গিয়ে রোপণ করা গাছগুলোও নষ্ট করা হয়। সীমানা নির্ধারণের লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড তুলে ফেলা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজনের ফসল নষ্টের অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বশেষ ১১ এপ্রিল বিকেলে সেখানে অভিযানে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। অভিযানে সহযোগিতায় ছিল মাত্র চারজন আনসার সদস্য।
আগামী মৌসুমে এই এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন হওয়ার আশঙ্কা হয়েছে। যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে তার ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ একাডেমি, চারঘাট থানা, ভূমি অফিস, স্লুইসগেট, বিজিবি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।পার্থ সরকার, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগ-২–এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলীঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মীরা এক্সকাভেটর মেশিন অকেজো করার চেষ্টা করলে সেখানে উপস্থিত হন মতলেবুর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশি অস্ত্রধারী। এ অবস্থায় যথেষ্ট ফোর্স না থাকায় অভিযান না চালিয়ে ফেরত আসতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন। ওসি নিজে সেখানে উপস্থিত থাকলেও মাত্র ৩০০ মিটার দূরত্বে থেকেও ঘণ্টাখানেক সময়েও থানার পুলিশ ফোর্স সেখান উপস্থিত হননি।
প্রকাশ্যে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় যাওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের লোকজনকেই মাটি খননে জড়িত লোকজন ঘিরে ধরেন। তাই চারঘাটের মুক্তারপুর থেকে নৌকা নিয়ে পদ্মা নদী দিয়ে গত রোববার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভুট্টাখেতের পাশ থেকে নদীপাড়ের মাটি খনন করা হচ্ছে। ৩০-৪০ ফুট গভীরে মাটি কাটায় সমতল ভূমি থেকে যন্ত্রটির মাথা দেখা যাচ্ছে না। সেখানকার ছবি তুলতে দেখেই খাদের মধ্যে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা একজন এই প্রতিবেদককে সালাম দেন। ছবি নিয়ে চলে আসতে গেলে একজন পেছন পেছন দৌড়ে আসতে থাকেন। ডাকতে ডাকতে বলেন, ‘ভাই, বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে যান, ভাই, বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে যান।’
স্থানীয় গোপালপুর এলাকার এক কৃষক বলেন, পদ্মা নদীতে অসময়েও ভাঙন চলছে। একের পর এক ফসল জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন আগামী বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করে। যেভাবে নির্বিচার নদীর পাড়ের মাটি পুকুরসমান গর্ত করে কাটা হচ্ছে, তাতে পুরো এলাকা নদীর মধ্যে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগে নদীর পাড়ে যেখানে ফসল ফলত, এখন সেখানে দুই মানুষ গর্ত হয়ে গেছে। যারা কাটছে তাদের বিরুদ্ধে কৃষকেরা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে তার ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ একাডেমি, চারঘাট থানা, ভূমি অফিস, স্লুইসগেট, বিজিবি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান