পাঁচ মাস পর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর করা হয়েছে। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সুমন কান্তি বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইনের সংবিধির ১৮(১) ধারা অনুযায়ী দুই বছরের জন্য শিক্ষকগণকে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.

মাইনুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইয়াতসিংহ শুভ এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল মাওয়া মুন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী প্রক্টরগণকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো। তারা উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী ভাতা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবনিযুক্ত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম বলেছেন, “প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির কাজ অনেক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ কাজ অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের ওপর অর্পিত এ দায়িত্ব অনেক পবিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদ একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ পান, তা সুনিশ্চিত করতে বর্তমান প্রক্টরিয়াল বডি নিরলসভাবে কাজ করবে। আমাদের ওপর আস্থা রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যারের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”

গত বছরের ৫ অক্টোবর জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে ‘সহকারী প্রক্টর দিয়েই চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। 

ঢাকা/হাবিবুর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ গ র সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ