ট্রাম্পের ইঙ্গিতের অপেক্ষায় পুতিন
Published: 24th, January 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। তবে এর জন্য প্রথমে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সংকেত আসতে হবে। শুক্রবার ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন সংঘাত দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ককে শীতল যুদ্ধের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ট্রাম্প বারবার ‘চুক্তি’ করে এই লড়াই শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘অবিলম্বে’ তিনি পুতিনের সাথে দেখা করবেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনা করতে চান।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ট্রাম্পের প্রস্তাব সম্পর্কে বলেছেন, “পুতিন প্রস্তুত। আমরা সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছি।”
পেসকভ অবশ্য জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। কারণ এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা ‘মুশকিল।’
ট্রাম্প রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছেন যে, যদি তারা প্রায় তিন বছরের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এছাড়া বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমানোর মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সৌদি আরব এবং ওপেককে তেলের দাম কমাতে বলবেন। ‘যদি দাম কমে যায়, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ক্রেমলিন বলেছে, “এই সংঘাত তেলের দামের উপর নির্ভর করে না।”
পেসকভ বলেন, “এই সংঘাতের মূল কারণ ছিল রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, ইউক্রেনে বসবাসকারী রাশিয়ানদের জন্য হুমকি এবং আমেরিকান ও ইউরোপীয়দের রাশিয়ার উদ্বেগ শোনার ইচ্ছার অভাব ও সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’