সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় স্মারকলিপি দিতে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন-মো. মাহবুবুর রহমান, মো.

লুৎফর রহমান, মনিবুল হক বসুনিয়া, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন, আব্দুল মান্নান, জুয়েল, বিজয় কর্মকার, শামীমা নাসরিন, সিরাজুল ইসলাম ও খায়রুন নাহার লিপি।

আরো পড়ুন:

যমুনা অভিমুখে যেতে বাধা, প্রাথমিক শিক্ষকরা শাহবাগে

দশম গ্রেডের দাবিতে রাজপথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

এর আগে রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার সকাল থেকে রাজপথে রয়েছেন সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। তাদের দাবি একটাই- ‘পে-স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি’।‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়ে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের জেলার শিক্ষকরাই সমাবেশ ভরে তোলেন। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র শ ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

ধামরাইয়ে বিস্ফোরণে বাসভবনের নিচতলা চূর্ণবিচূর্ণ, দম্পতি দগ্ধ

ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে বাসভবনের নিচতলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে। এতে দগ্ধ হয়েছে আসিফ (২৪) ও শান্তা (২১) নামের এক দম্পতি। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২ টার দিকে ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল এলাকায় কুববাত হোসেন নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় নিচতলায় একটি কক্ষে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধ আসিফ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা । স্ত্রী শান্তাকে নিয়ে তারা ধামরাইয়ের কুমড়াইলে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আসিফ পেশায় একজন রিকশাচালক ও তার স্ত্রী শান্তা একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত পৌনে ১২ টার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজে দুই তলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় কক্ষটিতে আগুন লেগে যায়। কিছুক্ষণ পর কক্ষটি থেকে দগ্ধ ওই দম্পতি বেরিয়ে আসেন। তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসানো দেখা যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বিস্ফোরণে বাসভবনের নিচতলা চূর্ণবিচূর্ণ হলেও সিলিন্ডারটি অক্ষত

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বাড়িটিতে তিতাসের গ্যাস থাকলেও ওই দম্পতি কক্ষে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতেন। সিলিন্ডারটি অক্ষত পাওয়া গেলেও গ্যাস পরিবাহী পাইপ পোড়া দেখা গেছে। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি কক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।

একই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া রজ্জব আলী বলেন, “রাত পৌনে ১২ টার দিকে বিকট আওয়াজ হয়। শব্দ শুনে এসে আগুন দেখি। তারপর আগুন নেভাই। দেখি একজন নারী, একজন পুরুষ বেরিয়ে এসেছেন। তাদের শরীর ঝলসে গেছে। তাদের রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুনেছি গ্যাস বিস্ফোরণে আগুন লাগে।”

সজিব হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রাতে শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আসি। এসে ধোঁয়া দেখি। ঘরের দরজা খুলে স্ত্রী প্রথম বেরিয়ে আসেন, পোড়া অবস্থায়। চুল পুড়ে গেছে। বেরিয়ে পড়ে যাচ্ছিল। পাশের কক্ষ থেকে একজন বেরিয়ে তাকে ধরে। এরপর তার স্বামীও বের হয়। মাথার সব চুল পুড়ে গেছে। চামড়া ঝলসে গেছে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।”

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে দেখি ঘরবাড়ি ভাঙা। দগ্ধদের পাইনি। দগ্ধ শান্তা ও আসিফ টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।”

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের লিডার জহিরুল ইসলাম বলেন, “এখানে স্বামী-স্ত্রী দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকার বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।”

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধামরাইয়ে বিস্ফোরণে বাসভবনের নিচতলা চূর্ণবিচূর্ণ, দম্পতি দগ্ধ