বিপিএলের প্লে-অফে খেলতে দলগুলোর যে সমীকরণ
Published: 24th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে আবারও ঢাকায় ফিরছে বিপিএলের উত্তেজনা। লিগ পর্বে প্রতিটি দলের এখনও কয়েকটি ম্যাচ বাকি। এর পরই শুরু হবে প্লে-অফ পর্ব। তবে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেরা চারে জায়গা করে নেওয়া দলগুলোর সমীকরণ নিয়ে আলোচনা।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রংপুর রাইডার্স। প্রথম আট ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করা নুরুল হাসানের দল নবম ম্যাচে হেরে গেলেও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার এক নম্বরে। টানা ম্যাচ জেতা নুরুল হাসান সোহানের দল প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সবার আগেই। তবে বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটি ম্যাচ জিতলেই পূরণ হবে সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেওয়া।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন বরিশাল এখনও প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করেনি। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে আছে। বাকি চার ম্যাচের একটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হবে বরিশালের। তবে বেশি ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফায়ারে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে।
তৃতীয় স্থানে আছে চিটাগং কিংস, ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে। বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি জিতলে চিটাগং প্লে-অফ নিশ্চিত করবে। এক ম্যাচ জিতলেও এলিমিনেটর খেলার সুযোগ থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে নেট রান রেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চতুর্থ স্থানে থাকা খুলনা টাইগার্স প্লে-অফের দৌড়ে কিছুটা চাপে আছে। মেহেদী হাসান মিরাজের দলটি আছে ৪ নম্বরে। বাকি তিন ম্যাচের সবগুলোতে জয় পেলেই খুলনা নিশ্চিত করবে প্লে-অফ। তবে কম ম্যাচ জিতলে খুলনাকে অন্য দলের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
পঞ্চম স্থানে থাকা দুর্বার রাজশাহী ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টিকে আছে প্লে-অফের দৌড়ে। তবে রাজশাহীর জন্য কেবল জিতলেই হবে না, নেট রান রেটও উন্নত করতে হবে।
ঢাকা ক্যাপিটালস নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে টানা হেরে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। তবে শাকিব খানের দল এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৩টি জয় পেয়েছে। প্লে-অফে যেতে হলে বাকি দুই ম্যাচে বড় জয় দরকার, সেই সঙ্গে অন্যান্য দলের হারও দরকার হবে।
পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ে সিলেটের প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন প্রায় শেষ। তবুও কাগজে-কলমে কিছুটা সম্ভাবনা বেঁচে আছে। সিলেটকে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেতে হবে এবং নেট রান রেটে অন্যদের পেছনে ফেলতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ন শ চ ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট খোয়া, স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা
নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দী-শৈলেরকান্দা সড়ক পাকাকরণে এ অনিয়ম চলছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে নরুন্দী-শৈলেরকান্দা সড়কের ১ হাজার ৩০০ মিটার পাকা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগেও এই সড়কের একাংশের কাজ হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে। ফলে দুই মাস না যেতেই সড়কটি ভেঙে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সে সময় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এলজিইডির কাছে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার মেলেনি।
জামালপুর এলজিইডি দপ্তরের তথ্যমতে, সদর উপজেলার নরুন্দী-শৈলেরকান্দা সড়কের মহিশুড়া শহীদের বাড়ি থেকে শৈলেরকান্দা বেপারির খামার পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মিটার পাকা করার কাজ শুরু হয় গত জানুয়ারি মাসে। ৩৫ লাখ টাকার কাজটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এস ট্রেডিংকে। অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদার নিজে কাজ না করে তা বিক্রি করে দেন আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে। সরেজমিন দেখা যায়, এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাস্তার কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইট ও খোয়ার মান যাচাই না করেই রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যাবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে জামালপুর সদর উপজেলার এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে।
নরুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন-অর-রশীদের ভাষ্য, গত বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার পাকা করার দুই মাসের মধ্যেই ভেঙে যায়। এতে এই সড়কে যাতায়াতকারী মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে, তা আরও খারাপ। ফলে এই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কাজ তদারকি কর্মকর্তা এলজিইডি সদর উপজেলার নকশাকার উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করায় তাঁর তদারকিতে কোনো কাজই মানসম্মত হয় না। বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে একজন সৎ ও দক্ষ প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
এলজিইডির জামালপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী আক্রাম হোসেন তালুকদারের ভাষ্য, রাস্তায় আগে ব্যবহৃত ইট-খোয়া ব্যবহারের নিয়ম আছে। সেগুলো দিয়ে কাজ চলছে। এখনও নতুন ইট-খোয়ার কাজ শুরু হয়নি। তবে যেভাবে কাজ করলে রাস্তাটি টেকসই হবে, সেভাবেই করা হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ সমকালকে বলেন, তিনি এই জেলায় নতুন এসেছেন। তাই এখনও সবকিছুর খোঁজখবর ঠিকমতো নিতে পারেননি। তাঁর ভাষ্য, তিনি এসেছেন কাজ করতে, কোনো দুর্নীতিবাজকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে নয়। যে ক’দিন থাকবেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন। এই রাস্তার খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মূল ঠিকাদার ও সাবঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোনকল রিসিভ করেননি।