জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্যাসের সংকট কমাতে আগামী দুই বছরে সারা দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হবে। পুরোনো ৩১টি গ্যাস কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  

আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে নতুন আবাসিক সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না, উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা অর্থ দিয়েছেন, তারা সেই অর্থ ফেরত নিতে পারেন।” 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া গ্রামে জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মজুতের জায়গার স্বল্পতা থাকায় বৃহৎ আকারে গ্যাস আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকার গ্যাস মজুতের জায়গা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জামালপুরে এই প্রকল্পে গ্যাস পাওয়া গেলে তা যমুনা সার কারখানায় দেওয়ার কথাও জানান তিনি। 

জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

শোয়েব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জামালপুরের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। প্রায় ৩০০০ মিটার খননের পর ৪০০ বিসিএফ গ্যাস পাওয়া গেলে ভোক্তা পর্যায়ে এর বাজার মূল্য দাড়াবে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন যুক্ত হবে ১০ এমএমএম সিএফ গ্যাস। 

এর আগে ১৯৮০ সাল ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সালে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় সাইসমিক জরিপে গ্যাস সন্ধানের তথ্য মেলে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করে কূপ খননের কার্যক্রম শুরু হয়। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ বছর। 

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক প খনন প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ