রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে তার সহযোগীরা।

আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনারসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম সমকালকে বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানায় নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৪টার দিকে থানার সামনে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন। তারা আসামিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তাদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় এর আগে গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দিতে মিথুনের নাম এসেছে। এর ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোরবেলা হওয়ায় ওই সময় কোনো বাধার মুখে পড়তে হবে বলে ধারণা করেনি পুলিশ। কিন্তু থানার সামনেই অবস্থান করছিলেন মিথুনের সহযোগী–সমর্থকরা। তারা মিথুনকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরেন এবং তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় তাদের কিল–ঘুসি, ধাক্কাধাক্কিতে পুলিশ সদস্যরা আহত হন। পরে থানা থেকে বাড়তি পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের আটক করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ