আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে পাকিস্তানের ৩, ভারতের নেই কেউ
Published: 24th, January 2025 GMT
কালের গহব্বরে মিলিয়ে যাওয়া গেল ২০২৪ সাল জুড়ে যারা বল ও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন, তাদের নিয়ে আইসিসি বর্ষসেরা একাদশ (টেস্ট ও ওয়ানডে) ঘোষণা করেছে। আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) ১২টি পুরস্কারের তিনটি ঘোষণা করা যায়। সেগুলো হলো- পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ, পুরুষদের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ও নারীদের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ।
পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট দলে ভারতের আছেন তিনজন প্রতিনিধি। তবে ওয়ানডের একাদশে তাদের নেই কেউ! পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আছেন তিনজন করে। ভারতের মতো বাংলাদেশেরও নেই কেউ। চলুন তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক।
আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল (পুরুষ):
যশস্বী জয়সওয়াল, বেন ডাকেট, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস, জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ম্যাট হেনরি ও জসপ্রীত বুমরাহ।
আরো পড়ুন:
তবে কি ভাঙছে শেবাগের সংসার?
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের লড়াই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল (পুরুষ):
সাইম আইয়ুব, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), শেরফেন রাদারফোর্ড, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফার।
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল (নারী):
স্মৃতি মান্ধানা, লরা উলভার্ড (অধিনায়ক), চামারি আতাপাত্তু, হেইলি ম্যাথিউস, মারিজান কাপ, অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যামি জোন্স (উইকেটরক্ষক), দীপ্তি শর্মা, সোফি একলেস্টোন ও কেট ক্রস।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’