ভিনিসিয়ুসকে পেতে আল আহলি ৩৬৫ মিলিয়ন ডলার খরচে রাজি
Published: 24th, January 2025 GMT
গত বছর দুয়েকে ধরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কারিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানে সহ বিশ্ব ফুটবলের অনেক বহু বড় তারকারা নাম লিখিয়েছেন সৌদি প্রোলিগের ক্লাব গুলোতে। সেই ধারাবাহিকতায় গত মৌসুম থেকেই ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুসকে জুনিয়রকে পেতে চেয়েও সফক হয়নি সৌদি ক্লাবগুলো।
তবে মরুর দেশের মানুষ হওয়াতেই হাল ছাড়ার পক্ষে নয় তারা। গুঞ্জন আছে ভিনিসিয়ুসকে পেতে আবারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। ফিফার বর্ষসেরা এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে পেতে অবিশ্বাস্য এক অংক প্রস্তাব করতে পারে আল আহলি।
আরো পড়ুন:
এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল
ইয়ামালই এই মুহূর্তে সেরা তবে মেসির পরে
ইএসপিএন এবং স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার প্রতিবেদন অনুসারে, আল আহলির প্রস্তাবটি হতে যাচ্ছে ফুটবল দলবদলের বাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। সৌদি ক্লাবটি ৩৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লোভনীয় একটা প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ভিনিসিয়ুসের বর্তমান ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে। যা ব্রাজিলিয়ান তারকাকে বানাবে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। তবে একদিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে শত গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা ভিনির সাফ কথা, স্বপ্নের ক্লাবে থেকেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিতে চান তিনি।
২০২৩ সালে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ভিনি। নতুন চুক্তি অনুযায়ী এই উইঙ্গার মাদ্রিদে থাকবেন ২০২৭ সাল পর্যন্ত, তার রিলিজ ক্লজ ১ বিলিয়ন ইউরো। তবে এর মধ্যে ৩৬৫ মিলিয়ন ডলারের (টাকার অংকে ৪ হাজার ২০০ কোটি) নতুন এই প্রস্তাবে আবারও নড়েচড়ে বসেছে ফুটবল দুনিয়া। অন্যদিকে সৌদি ক্লাবগুলোর ধারণা রিয়ালে এই মৌসুমে ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে যোগ দেওয়ায় ভিনি গুরুত্বের সঙ্গে ভাববেন প্রস্তাবটি।
ভিনিসিয়ুসকে পেতে আল আহলি জোর চেষ্টা শুরু করলেও একই দৌড়ে আছে অন্য ক্লাবও। রোনালদোর আল নাসর এবং নেইমারের ক্লাব আল হিলালও নাকি কিনতে চায় ভিনিকে। আপাতত অবশ্য এই দুই ক্লাবের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে আল আহলিই। যেখানে রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজ এবং ইভান টনির মতো তারকারা খেলেন।
সৌদি প্রস্তাবের প্রসঙ্গে এই ২৪ বছর বয়সী তারকা অবশ্য যা বললেন তাতে মন জুড়িয়ে যাবে ফুটবলপ্রেমীদের। ভিনিসিয়ুস টিএনটি ব্রাজিলকে বলেন, তার ভাবনা শুধু রিয়ালকে ঘিরেই, “আমার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো নিজের খেলায় প্রতিনিয়ত উন্নতি করার ব্যাপারটি মাথায় রাখা। নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার পথে এগিয়ে চলা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবকে সহায়তা করা।”
রিয়ালে নিয়ে ভিনিসিয়ুস তার স্বপ্নের কথাও জানাতে ভুললেন না, “আমার স্বপ্ন ছিল এই ক্লাবে আসা, সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা। এখনকার কথা বললে, এটিই আমার স্বপ্ন, বড় চিন্তা করা এবং এই ক্লাবের জার্সি গায়ে আরও অনেক ট্রফি জেতা।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।