গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
Published: 24th, January 2025 GMT
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাদির উজজ্জামান।
এরআগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আমবাগ খোলাপাড়া এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন হরিণাচালা হাউজিং এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান রিপন (৪৫) ও একই এলাকার সালা উদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদুল হাসান চঞ্চল (৩৮)। নিহত দুজনই ব্যবসায়ী ছিলেন।
এসআই নাদির উজজ্জামান জানান, কোনাবাড়ী এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে রিপন ও চঞ্চল কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বর এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে আমবাগ খোলাপাড়া এলাকায় হয়ে ঢাকা-রাজশাহী রেলক্রসিং অতিক্রম করছিলেন তারা। এ সময় ঢাকাগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। রিপন ঝুট ব্যবসা করতেন এবং চঞ্চল একটি হাসপাতালের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন।
এসআই নাদির বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/রফিক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই
চট্টগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে মারধর এবং মুঠোফোন ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাফসীর ইমাম ও মো. সাইমন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই ইউসুফ আলীর চোখে পড়ে চরপাড়াঘাট এলাকায় কিছু স্থানীয় যুবক মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন। এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়ে যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। এসআই ইউসুফ আলী তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।
আধা ঘণ্টা পর বেশ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে ফিরে আসেন ভুল স্বীকার করা দুই যুবক। এই সময় এসআই ইউসুফ আলী তাঁর সঙ্গে থাকা টহল গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যুবকেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো ভুয়া পুলিশ। আপনার আইডি কার্ড কই?’ এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসআই ইউসুফ আলীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাঁকে। ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ওয়াকিটকি সেট, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতেঙ্গা থানার পুলিশ এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে এসআই ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তারা বখাটে প্রকৃতির।