উৎপাদনে ফিরল আশুগঞ্জ সার কারখানা
Published: 24th, January 2025 GMT
এগারো মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় আবারো ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথ।
প্রদীপ কুমার নাথ জানান, গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে ঢিমেতালে চলছে সার উৎপাদন কাজ। পুরোদমে সার উৎপাদনে ৪০-৪২ বার চাপ প্রয়োজন হয়। বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৪ বার।
আরো পড়ুন:
চার দেশ ও স্থানীয় বাজার থেকে ৭৫৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় শতভাগ উৎপাদন শুরু
সার কারখানা সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ সার কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ১০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। গ্যাস সংকটের কারণে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সার উৎপাদনে ফেরে কারখানা।
আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথ বলেন, “গ্যাস সরবরাহ শুরুর পরপরই সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাসের সমস্যা পুরোপুরি কেটে গেলে সার উৎপাদনেও গতি আসবে।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল
গাজায় সব মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছে হামাস।
নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকে গাজায় আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে গাজায় হঠাৎ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেখানকার মানুষ ময়দা, রুটি যা পারছে তাই খুঁজছেন। যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা যায়। পণ্য সরবরাহ বন্ধ করায় আবারও না খেয়ে থাকায় শঙ্কায় পড়েছেন গাজাবাসী।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও, এখনই হামলায় যাচ্ছে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে রমজান মাসে যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।