৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি তারকার সংখ্যা আশানুরূপ নয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টির মতো অর্থসমৃদ্ধ লিগগুলোর প্রচলন। বিপিএলের তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ায় ক্রিকেটাররা এসব লিগে খেলতেই বেশি আগ্রহী। এমনকি চুক্তি সত্ত্বেও অনেকে বিপিএলে খেলতে আসেননি, আবার কেউ কেউ শুরুর দিকে খেলেই অন্য লিগে চলে গেছেন।  

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। এই জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫০ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি।

খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজকে জিজ্ঞেস করা হয় বিপিএলে বিদেশি তারকা না আসার বিষয়ে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিপিএল এমন সময়ে হওয়া উচিত, যখন আর কোনো বড় লিগ চলবে না। তখন অনেক মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে। আগের মতোই বড় তারকাদের খেলতে দেখা যাবে।’

মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘বর্তমানে একসঙ্গে ৩-৪টি টুর্নামেন্ট চলছে। অনেক খেলোয়াড় আগেই সেসব লিগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। যারা এখানে খেলছেন, তারা হয়তো অন্য লিগে সুযোগ পাননি। তাই এখনকার পরিস্থিতি বেশ কঠিন।’

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে মিরাজ বলেন, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুটি জয় তুলে নিয়ে আমরা শীর্ষ চারে আছি। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর টানা চারটি হার আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সিলেট ও রংপুরের সঙ্গে কাছাকাছি ম্যাচগুলো হারাটা আমাদের জন্য হতাশার ছিল। এখন প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে।’  

দলের কম্বিনেশন নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। তাই বিভিন্ন পজিশনে খেলতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাকে কোন জায়গায় খেলাব, সেটা পুরোপুরি ঠিক করতে পারিনি। তবে আশা করি, এখন থেকে সেটা ঠিক করতে পারব।’  

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক অলরাউন্ডার থাকায় কিছু ভালো খেলোয়াড় একাদশের বাইরে বসে আছে। ইমরুল ভাই, আফিফ, রনি বা নাসুমের মতো খেলোয়াড়রাও কখনো কখনো বাইরে থাকছে। টিম কম্বিনেশনের কারণেই এমনটা হচ্ছে, তবে আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ