নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
Published: 24th, January 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নয়াবাজার এবং ১০নং ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শাহীন আলম ও একজন অজ্ঞাত বৃদ্ধা। শাহীন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার সেনগাতি এলাকার আলতাফ আলীর ছেলে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে নয়াবাজার এলাকায় সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোরগামী একটি ফলবাহী ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফলবোঝাই ট্রাকা থাকা শাহীন আলম নামে একজন মারা যান। এই দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় পতিত ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাস উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোরে উপজলার ১০নং ব্রিজ এলাকায় বাস চাপায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নিহত হন। নিহত বৃদ্ধা ভবঘুরে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/আরিফুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’