আজ ছিল সাদিবের জন্মদিন। বাড়িতে তার জন্মদিন পালনের আয়োজনও করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু পালন করা হলো না তার জন্মদিন! কে জানতো সাদিব জন্মদিনেই চলে যাবে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে! সিএনজি কেড়ে নিল তার প্রাণ। বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন নিহত শিশুর বাবা। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়ায়।

নিহত সাদিব উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া নদীশুকা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার সাঁথিয়া-পুন্ডুরিয়া স্থানীয় সড়কের আফড়া শামুকজানি বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার ও দুর্ঘটনায় আহতরা জানান, সাঁথিয়ায় রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহত হয় সাদিব (৮)। এ সময় সিএনজির যাত্রী সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ভোরের দর্পনের উপজেলা প্রতিনিধি আশিক ইকবাল রাসেলসহ ৬ জন আহত হন।

গুরুতর আহত সিএনজি চালক মাহতাব উদ্দিনকে (৫০) প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি সাঁথিয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়েন খাঁ মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন একটি সিএনজি সাঁথিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে উপজেলার সাঁথিয়া-পন্ডুরিয়া স্থানীয় সড়কের আফড়া শামুকজানি বাজারের কাছে পৌঁছালে সাদিব রাস্তা পার হওয়ার সময় সিএনজির সামনে দিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সাদিব গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

এ সময় সিএনজিটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গেলে সিএনজির ৬ যাত্রী আহত হন। আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত শিশু সাদিবের বাবা ফারুক হোসেন জানান, আজ সাদিবের জন্মদিন ছিল। ছেলের জন্মদিন পালন করার জন্য বাড়িতে আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু পালন করা হলো না। আমার ছেলে আর নেই। এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু নেই।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সময় স এনজ স এনজ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ