গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ব্যবসায়ী মো. কালাম শেখের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। কালাম শেখের দাবি, ডাকাতরা নগদ এক লক্ষ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, এটি ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা। 

ব্যবসায়ী মো.

কালাম শেখ জানান, রাত ২টার দিকে সাত থেকে আট জনের মুখোশ পরা একদল সস্বস্ত্র ডাকাত বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির সবাইকে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারী ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে।

ঘটনার খবর শুনে মুকসুদপুর সার্কেল এএসপি আবদুল বাছেদ ও কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিন খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউদ্দিন খান বলেন, “এটি ডাকাতির ঘটনা নয়, চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।”

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি

কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর এবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

ভারতের সামরিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি বরাবর পাকিস্তানি সেনারা ভারতের কয়েকটি পোস্টে গুলি চালায়। এর জবাবে ভারতও গুলি চালায়।

নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঠিক জবাব দিয়েছে জানিয়েছে সূত্র আরও জানায়, ছোট অস্ত্র দিয়ে কিছু জায়গায় গুলি চালানো হয়েছিল। এ গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গত ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ‘শক্ত ও স্পষ্ট জবাব’-এর কথা বলেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। চলছে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ