খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) অপসারিত মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের অনিয়ম ও দুর্নীতি উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে। তালুকদার খালেক, তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সহযোগীদের তথ্য চেয়ে কেসিসি, আয়কর বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, গত ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার আবদুল খালেকের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে দুদক।

তিনি বলেন, “প্রধান কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার চিঠি পেয়েছি এবং বৃহস্পতিবারই অনুসন্ধান শুরু করেছি। সাবেক মেয়রের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য তার সহযোগীদের তথ্যও প্রয়োজন। এজন্য তার ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে পরিচিত ঠিকাদারদের তথ্য চেয়ে কেসিসিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেয়র হয়ে রামপাল-মোংলার জন্য কেসিসির গাড়ি ব্যবহার, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খুঁজে বের করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

আবদুল ওয়াদুদ জানান, বৃহস্পতিবার তালুকদার খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের আয়কর রিটার্ন, কর নির্ধারণী আদেশসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রে ছাপালিপি চেয়ে খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার সার্কেল-০৩ এর কাছে চিঠি দেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান আবদুল ওয়াদুদ। পাশাপাশি কেসিসির প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স, তাজুল এন্টারপ্রাইজ ও আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদারি কাজের যাবতীয় তথ্য, এইচ এম সেলিমের প্রতিটি কাজ ও পরিশোধিত বিলের পরিমাণ, খালিশপুর ১৮ নম্বর রোড উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের দরপত্র সংক্রান্ত সব রেকর্ড এবং মেয়র হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে গাড়ির লগ বই চাওয়া হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, “নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতেও বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।”

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তালুকদার আবদুল খালেক আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ এক ডজন মামলা হয়েছে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায়।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এবার ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ইফতার করালো রাবি প্রশাসন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যায়নরত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩ মার্চ) দ্বিতীয় রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা দলে দলে কেন্দ্রীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে এবং মসজিদ সংলগ্ন বাগানে তারা ইফতারির জন্য সারিবদ্ধভাবে বসেন। এ ছাড়াও নারীদের জন্য মসজিদের বাগানে আলাদাভাবে ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। এতে মসজিদ প্রাঙ্গণে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ভোটগ্রহণ জুনে

ইফতারে অংশগ্রহণ করতে আসা ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “আজকের আয়োজন অনেক ভালো ছিল। এখানে সবার সঙ্গে ইফতার করতে এসে খুবই ভালো লাগছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটা দিন মনে হচ্ছে ঈদের মতো। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ বলেন, “গতকালের তুলনায় আজকের আয়োজন অনেক ভালো। কাল সব এলোমেলো ছিল। কিন্তু আজকের আয়োজন গোছালো হয়েছে। এত মানুষের সঙ্গে আগে কখনো ইফতার করিনি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। মনে হচ্ছে এখানে মেলা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।”

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার প্রমখ।

সার্বিক বিষয়ে জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “আমরা আজ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতার আয়োজন করেছি। যা গতকালের তুলনায় তিনগুণ। আমরা আশা করছি আজ সব ঠিকঠাক মতো হবে। এজন্য সবার সাহায্য প্রয়োজন, যাতে কোন উশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।”

প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রোজার প্রথমদিন রবিবার (২ মার্চ) ৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আয়োজনের তুলনায় অধিক রোজাদার উপস্থিত হওয়ায় ইফতারে সঙ্কট দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের ভাগাভাগি করে নিতে দেখা গেছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ