কক্সবাজারের টেকনাফ পাহাড় এলাকা থেকে ১০ রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ির পেছনের পাহাড়ের চূড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ১০ জন রোহিঙ্গা। গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো.

হারুন (২৫) ও নূর মোহাম্মদ (১৯)। তারা কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্র জানায়, অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১৬-১৭ দিন আগে ধাপে ধাপে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের আটক করে রাখে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, অপহরণকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এসপি রহমত উল্লাহ আরও বলেন, উদ্ধার করা ভিকটিমদের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে শুনে শুনে কুরআনের হাফেজ হলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ২ ভাই

শুনে শুনেই কুরআনের হাফেজ হয়েছেন চাঁদপুরের একটি এতিমখানায় থাকা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেধাবী দুই ভাই আল-আমিন (১৪) ও ফয়সাল (১২)।

শনিবার (১ মার্চ) বিকালে ফরিদগঞ্জের ঘনিয়া ছাইয়েদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় গেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের এ প্রতিভার কথা জানা যায়।

জানা গেছে, চাঁদপুরের শাহরাস্তির কেশরাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত মোখলেছুর রহমান ও মা রূপবান বেগমের ছেলে আল-আমিন ও ফয়সাল। পাঁচ বছর আগে তাদের বাবা মারা যায়। অভাব অনটনের সংসারে দেখা দেয় বিভীষিকা।

মোখলেছুরের মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে ঘনিয়া ছাইয়েদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় ভর্তি করেন মা রূপবান বেগম। এরপর মাদ্রাসা ও দরবার শরীফের পীর হাফেজ মাওলানা মো. জুনায়েদুল হক এতিম শিশুদের সন্তানের মতো আদর যত্ন করেন। দুজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও তাদের অসম্ভব মেধা দেখে হুজুর তাদেরকে বিশেষভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালান। অবশেষে কুরআনের হাফেজ হয়েছেন দুই ভাই।

হাফেজ মাওলানা জাকির বলেন, “আল-আমিন ও ফয়সাল পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা শুনে শুনেই মুখস্ত করেছেন। পৃথিবীর আলো দেখতে না পারলেও পবিত্র কুরআনের আলোয় আলোকিত তারা। তাদের সুরেলা কণ্ঠের তেলাওয়াত মুগ্ধ করেছে সবাইকে। হাফেজ আল-আমিন গত বছর জাতীয় পর্যায়ে হওয়া অন্ধ হাফেজদের কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।”

মাদ্রাসা ও দরবার শরীফের পীর হাফেজ মাওলানা মো. জুনায়েদুল হক বলেন, “হাফেজ আল-আমিন ও ফয়সালকে মহান আল্লাহপাক বিশেষ রহমত ও মেধাশক্তি দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। হুজুরদের মুখে শুনে শুনে কুরআন মুখস্থ করে ফেলেছেন তারা।”

দুই ভাইয়ের শিক্ষক মাওলানা বজলুল হক আজহারী বলেন, “দুই ভাই আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতোই স্বাভাবিক চলাফেরা করে। বাইরের অনেকে বুঝতেও পারে না তারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। মহান আল্লাহ যেন তাদের বিশেষ রহমতে পবিত্র কুরআনকে তাদের অন্তরে গেঁথে নিয়েছেন।”

দুই সহোদর হাফেজের মা রূপবান বেগম বলেন, “স্বামী হারিয়ে আমি যখন দিশেহারা তখন দুই সন্তানকে ঘনিয়া ছাইয়েদিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দিই। হুজুরেরা আমার সন্তানদের কুরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রমজানের প্রথম ১০ দিনে করণীয়
  • শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান
  • রহমতের মাস রমজান শুরু
  • পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয় দুজনকে
  • চাঁদপুরে শুনে শুনে কুরআনের হাফেজ হলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ২ ভাই