ভারতে অস্ত্র কারাখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৮
Published: 24th, January 2025 GMT
ভারতের মহারাষ্ট্রে অস্ত্র কারখানা ও সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে। স্তানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার কিছুক্ষণ পরেই নাগপুরের কাছে জওহর নগরের অস্ত্র কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার দিক। বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এলাকাতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ভান্ডারার জেলা প্রশাসক সঞ্জয় কোলতে জানান, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল এলাকায় পৌঁছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারের কাজ করছেন তারা। বিস্ফোরণের আঘাতে ধসে পড়েছে কারখানার একটি ছাদ। এর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল অন্তত ১৪ জন কর্মী। প্রথমে দুজনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে এক জন মৃত ছিল। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আরো সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানার ভিতরে অন্তত ১৪ জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে আটজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অন্যদের জীবিত উদ্ধার করা হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।
আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।
আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।