এক-এগারোর পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

আজ শুক্রবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ইদানিং কথা বলার সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ বলছে, বিএনপি নাকি এক-এগারো আনার পাঁয়তারা করছে। তাদের বলছি, ১/১১ এর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করেনি। যদি এ ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের মুখ দেখবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, দেশবাসীকে ঠকানোর পাঁয়তারা করবেন না। আমাদের ভারতের দালাল বা আওয়ামী লীগ বানানোর চেষ্টা করবেন না। চক্রান্ত না করে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করুন।’

নতুন দল গঠন বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না। গণতান্ত্রিক ধারায় দল পরিচালনা করুন, বিএনপি আপনাদের স্বাগত জানাবে।’

তবে যারা বিএনপিকে ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন তাদের পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন মির্জা আব্বাস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ