ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় আহত ১২
Published: 24th, January 2025 GMT
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যানবাহন। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকামুখী ও মাওয়ামুখী লেনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দুর্ঘটনায় বাস, প্রাইভেটকারসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, শুক্রবার ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে এক্সপ্রেসওয়ে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলো যানবাহনগুলো। ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকামুখী লেনে ২টি ও মাওয়ামুখী লেনে ১টি দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, পেছন থেকে একটি বাস অপর বাসকে এবং প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ১২ জন। তাদের উদ্ধার ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়।
ঢাকা/রতন/ইমন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসব দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’