নবীগঞ্জে জমজমাট পিঠা উৎসবে প্রাণের সাড়া
Published: 24th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে আইডিয়াল উইমেন্স কলেজে প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট পিঠা উৎসব। ছিল নানারকম শীতকালীন পিঠার সমারোহ। কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে প্রাণের সাড়া মিলেছিল। আগত অতিথিদের আগ্রহে উৎসবের আয়োজনটি হয়েছিল উপভোগ্য।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ নজির আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী।
পিঠা উৎসব পরিদর্শনকালে আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী নানা রকম পিঠার পরিবেশনায় মুগ্ধ হন। তিনি এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সাধুবাদ জানান।
সাবেক মেয়র বলেন, “ লেখাপড়ার পাশাপাশি পিঠা বানানোসহ পারিবারিক বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে সব ছাত্রীদের।”
তিনি এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন আগামীতে আরো বড় পরিসরে করার আহ্বান জানান।
এ সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিরুপম দেব, পরিচালক সলিল বরণ দাশ, অভিভাবকবৃন্দ, প্রভাষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবকে ঘিরে পুরো কলেজ প্রাঙ্গণজুড়েই ছিল প্রাণচাঞ্চল্য।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
ঈদ এলেই উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। সাধারণ মানুষের মতো পর্দার মানুষগুলোও এই দিনটিকে ঘিরে সাজিয়ে রাখেন বিশেষ পরিকল্পনা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো-সব মিলিয়ে ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ। তবে আগের মত ঈদের আনন্দ এখন নেই বলে জানালেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
ন্যান্সি সমকালকে বলেন, ‘এবার ঈদ ঢাকায় করছি। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকেই ঢাকায় ঈদ করি। আমরা যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসি, ঈদে তারা নিশ্চয় গ্রামের বাড়িতে যান। আমাদের কিন্তু সেই সুযোগ নেই। আমরা কিন্তু চাইলেই যেতে পারি না।’
ছোটবেলা ও এখনকার ঈদের মধ্যে পার্থক্য বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট-বড়বেলা ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমি একটা জিনিস বুঝেছি, বাবা-মাকে ছাড়া ঈদ করা কঠিন। আমার বাবা-মা তো বেঁচে নেই আমি কোথায় যাবো। যেকোনো উৎসবে অনেক বেশি খারাপ লাগে। তবে এখন সন্তানরাই আমার সব। সন্তান ও পরিবার নিয়েই এখন আমার ঈদ।’
ন্যান্সির কথায়, ‘একটা সময় আমার মা-বাবাই সব ধরনের খোঁজ-খবর নিতেন। ঈদের দিন বা পরের দিন আমি তাদের বাড়ি যেতাম, নয়তো তারা আমার বাড়ি আসতেন। অনেক হইহুল্লো করে দিন যেতো। কিন্তু এখন তো আর সেটা নেই।’
ন্যান্সি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমিসহ আমার বাচ্চাদের টেনশন ছিল তাদেরই। এই যে একটা ঈদ আসলো, মা যে কত কিছু করতেন তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার টিভি অনুষ্ঠানসহ সব কিছু মা খেয়াল রাখতেন। একটা গান আসলে আমার মায়ের যে উচ্ছ্বাস আমি দেখেছি তার আর কারও মধ্যে দেখিনি।’