যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ৩৩ মরদেহসহ গোপন কবরের সন্ধান
Published: 24th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর কলম্বাস থেকে ৭০ মাইল দক্ষিণে একটি শহরে ৩৩ জনের মরদেহ ও কঙ্কালের অবশিষ্টাংশসহ বেশ কয়েকটি গোপন কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল চিহুয়াহুয়া রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে টাস্কফোর্স ও পুলিশ বাহিনী মরদেহ ও কঙ্কালসহ গোপন কবরের সন্ধান পায়।
চিহুয়াহুয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাসাস গ্র্যান্ডেস শহরের ‘এল উইলি’ নামে পরিচিত একটি বনাঞ্চলে অন্তত ১০টি মরদেহ কবর দেওয়ার আগে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছিল। রাজ্যের ফরেনসিক নৃতাত্ত্বিকরা কবর থেকে বের করা মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত এবং হাড়ের অংশ বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আরও জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের জন্য নিয়োজিত একটি টাস্কফোর্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ অফিসাররা কবরগুলো চিহ্নিত করেছেন। মঙ্গলবার থেকে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সাহায্যে খনন কাজ শুরু করেন।
মঙ্গলবার ১০টি মরদেহ এবং বুধবার আরও ১৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানুয়ারি ১৫ তারিখে টাস্কফোর্স ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক কবর খুঁজে পেয়েছিল, যেখানে চারটি লাশ ছিল বলে জুয়ারেজে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের এক মুখপাত্র বর্ডার রিপোর্টকে জানিয়েছেন।
টাস্কফোর্সটি একটি অঞ্চলে বেনামি তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে, যা কৃষিকাজ, পশুপালন এবং উত্তর আমেরিকার মোগোলন জনগণের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এই অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার একটি মাদকপথে পরিণত হয়েছে, যা দুটি আন্তঃজাতীয় অপরাধী সংগঠনের মধ্যে বিরোধপূর্ণ।
কাসাস গ্র্যান্ডেস বাভিসপে, সোনোরা থেকে ৪০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এই এলাকায় ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর লা লিনিয়া গোষ্ঠীর সদস্যরা সিনালোয়া মাদক চোরাকারবারীর প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে লা মোরা নামক একটি খামারের কাছে ৯ জন আমেরিকানকে গুলি করে হত্যা করে।
মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০২২ সালে নর্থ ডাকোটার একটি ফেডারেল বিচারক নিহতদের আত্মীয়দের ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব