বিশ্বের ১২৫ দেশের মধ্যে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
Published: 24th, January 2025 GMT
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকার বায়ু। বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২২৪। বায়ুর এই মানকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
বিশ্বের ১২৪টি দেশের মধ্যে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা, স্কোর ১৯৯, অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
একিউআই স্কোরে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ১৯৯। ১৯৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে নেপালের কাঠমুন্ডু। পঞ্চমে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৯০।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
বায়ুদূষণের আজ রাজধানীর যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। এছাড়াও ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াতে ইসলামী ফতুল্লা উত্তর থানার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উত্তর থানার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমাবার সকালে ইউনিট সভাপতিদের নিয়ে এ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা থানা আমীর গাজী আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও সেক্রেটারি হাফেজ এনামুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ওমর ফারুক নোমানী, আমিন উদ্দিন মোস্তান প্রমূখ।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, একটি ন্যায়, ইনসাফপূর্ণ, কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গঠনের পূর্ব শর্ত। আদর্শ চরিত্রবান সৎ, দক্ষ ও দূর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব।
জামায়াতে ইসলামী এমন একদল সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরির সংগ্রাম করছে। এ লক্ষ্য অর্জনের সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামি আদর্শের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া এবং প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি তৃণমূল নতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াস তার বক্তব্যে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ স্টেডিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে যে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে তাতে সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তিনি ইউনিট সভাপতিদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী আবুল কাশেম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে চাদাবাজ ও দূর্নীতিবাজমুক্ত বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।