উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলার অভিযোগ
Published: 24th, January 2025 GMT
ঢালাও মামলায় সারাদেশের ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী সংখ্যালঘুদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উর্দুভাষী বাংলাদেশিদের দুই সংগঠন ইএসপিওয়াইআরএম এবং এমআরডিএম।
মানববন্ধনে মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, উর্দুভাষীরা স্বৈরাচার সরকারের আমলে বারবার নির্যাতিত হয়েছে। বর্তমান সময়েও যদি তাদের নির্যাতিত হতে হয়, এটা দুঃখজনক।
মান্না বলেন, ২০১২ সাল থেকে উর্দুভাষীদের সংগঠন উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের (ইউএসপিওয়াইআরএম) সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তিনি এবং তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীর দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস আছে। তাদের সঙ্গে অবিচার না করে তাদের মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্ত করতে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।
মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার বলেন, আয়োজক সংগঠনের নেতা সাদাকাত খান ফাক্কু কালশীতে ৯ বিহারিকে পুড়িয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছেন। তখন আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনের আগে ফাক্কু ও তাঁর ছেলেসহ ১৭২ জন উর্দুভাষীর নামে স্বৈরাচারের দোসররা গায়েবি মামলা করেছিল। তাদের ওপর হামলা ও অফিসে তালা দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার তাদের ঢালাও মামলায় আসামি করা হচ্ছে, এটা দুঃখজনক।
আয়োজক সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএমের সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ক্যাম্পের জমি দখলের জন্য সব সরকারের আমলেই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই সরকারের আমলেও আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মানববন্ধনে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু, মোহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্টের (এমআরডিএম) সাধারণ সম্পাদক মেহতাব কাদেরীসহ উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা অংশ নেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ভায়না মোড়ে ঢাকা যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মাগুরাসহ নতুন ছয়টি মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মাগুরা মেডিকেল কলেজ অস্থায়ী ক্যাম্পাস প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। একটি মেডিকেল কলেজে যেসব স্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, তার প্রায় শতভাগ এখানে রয়েছে। তাই মাগুরার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে মাগুরা মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে হবে।’
মাগুরা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়া ধর বলেন, ‘আমাদের মাগুরা মেডিকেল কলেজে বড় মেডিকেল কলেজগুলোর মতো প্রায় সব সুবিধা থাকার পরও শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে এটি বন্ধের অনেক অপচেষ্টা চলছে। যে কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে এবং মাগুরার মানুষের জনস্বার্থে এখানে আমরা আজ অবরোধ করেছি, যাতে এই মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়।’
মানববন্ধনের কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-যশোর ও ঢাকা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ মাগুরার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রতিষ্ঠান। এটা কোনোভাবেই বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সামনে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।’
জানতে চাইলে মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হবে, এমন আনুষ্ঠানিক চিঠি বা নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নতুন মেডিকেল কলেজগুলো নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নানা বক্তব্যে হয়তো শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শুনেছি, শিক্ষার্থীরা সেই উদ্বেগের জায়গা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।’