বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ সংশোধনে আইনি নোটিশ, বার সভাপতির উষ্মা
Published: 24th, January 2025 GMT
বিচারক নিয়োগে জারি করা ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর চারটি ধারা সংশোধনের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এসব ধারায় কাউন্সিল গঠন, কাউন্সিলের সচিব, কাউন্সিলের ক্ষমা ও কাজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগের সুপারিশ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী আজমল হোসেন বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী কাউন্সিলে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দু’ভাগে দু’জন বিচারক থাকবেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আর রেজিস্ট্রার জেনারেলকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। সেখানে স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫। এতে অনেক যোগ্য লোক বঞ্চিত হবেন। তাই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
বার সভাপতির উষ্মা
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন। গতকাল তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ আইনজীবী সমাজকে হতাশ করেছে। এখানে আইনজীবীর কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করতে হবে।
গত মঙ্গলবার অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠিত হবে। ওই কাউন্সিল যাচাই-বাছাই করে বিচারক নিয়োগের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে কারণ উল্লেখ করে কাউন্সিলের সেই সুপারিশ থেকে কারও নাম ফেরত পাঠাতে পারবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, পুলিশ বাহিনীতে কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে যথাযথ অনুসন্ধান করে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেনের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, এম সারোয়ার হোসেন ১৬ এপ্রিল পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ সম্পর্কে কম-বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখ করেন। এমনকি পুলিশ মহাপরিদর্শক পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে তিনি (এম সারোয়ার হোসেন) বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য–প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ব্যতিরেকে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে। পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসমক্ষে হেয় করার শামিল।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সব সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছেন।