রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বরাদ্দের দোকান ভাড়ায় খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। নামমাত্র মূল্যে প্রশাসন বরাদ্দ পেলেও সেগুলো বাইরের ব্যবসায়ীর কাছে তারা ভাড়া দিচ্ছেন কয়েক গুণ বাড়তি দামে। আবার বড় অঙ্কের টাকা জামানতও নিচ্ছেন। ফলে এসব দোকানের পণ্য বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফটক-সংলগ্ন বাজারে ফার্মেসি, স্টেশনারি, লাইব্রেরি, মিনি রেস্টুরেন্ট, মুদি, সেলুন, মাছ-মাংস, ডিম, সবজি মিলে ২০ দোকান ও ১৪টি কাঁচাবাজারের স্টল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ বাজারের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বল্প ভাড়ায় দোকান বরাদ্দ দিলেও তা তৃতীয় পক্ষের কাছে ভাড়া দিয়ে মুনাফা লুটছেন বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিটি কাঁচাবাজারের দোকান ১ হাজার এবং বড় দোকান ২ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছে প্রশাসন। বেশির ভাগ দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা। কিন্তু তারা এসব দোকান ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বাইরের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। দোকানপ্রতি দেড় থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কম টাকায় দোকান বরাদ্দের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা। কিন্তু বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাতুরির কারণে এখানে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাইরের বাজারের তুলনায় বেশি। মাছ-মুরগি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি দিতে হয়। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল রাকিব বলেন, মিনি বাজারে সবজিসহ সব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। কেন বেশি রাখেন প্রশ্নে দোকানিরা জানান, দোকান পেতে তারা জামানত হিসেবে অনেক টাকা খরচ করেছেন। মাসে ভাড়াও অনেক বেশি। প্রশাসন জেনেও নির্বিকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি তাদের দোকান ভাড়া দিলে সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারতেন।
দোকান বরাদ্দ পাওয়া অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দোকান পেতে আমাদের বড় বিনিয়োগ করতে হয়েছে। লাভের জন্যই করেছি। আমরা দুই হাজার টাকায় দোকান নিয়েছি বলে কি একই অর্থে ভাড়া দেব? তা ছাড়া প্রশাসন তো নিয়ম করেনি, আমরা কত টাকায় ভাড়া ওঠাতে পারব?’

উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে কাজ চলছে। নীতিমালার পর এক-দেড় মাসের মধ্যে নতুন কমিটির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। আশা করছি, তখন বাজার হবে শিক্ষার্থীবান্ধব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

২৫ নং ওয়ার্ডে পাম্প হাউসের ক্যাবল চুরি, দুর্ভোগ

বন্দরে ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা- দাসেরগাঁ পাম্প হাউসের বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ মার্চ) ভোরে ওই পাম্পের প্রায় ৩০ ফুট ক্যাবল চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পাম্পের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।  

ফলে পবিত্র মাহে রমজানে এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র  সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোজাদাররা । এ ব্যাপারে পাম্প অপারেটর রাজু মিয়া বাদি হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পাম্প অপারেটর রাজু জানান,  সাহরি খাওয়ার পর রোববার ভোরে পাম্প বন্ধ করে তিনি চলে যান । এ সময় চোরেরা পাম্পের প্রায় ৩০ ফুট বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি করে নিয়ে যায়। সকাল ৮টায় পাম্প চালু করতে এসে ক্যাবল চুরির বিষয়টি নজরে আসে। ক্যাবল চুরির কারণে পানি উত্তোলন ও গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান ।

পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা নাসিকের সহকারি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল জোবায়ের জানান, দুই সপ্তাহ আগে এ পাম্পের ক্যাবল চুরি হয়। পরে নতুন ক্যাবল স্থাপন করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু রোববার পুনরায় ক্যাবল চুরি হয়। বার বার ক্যাবল চুরি হওয়ায় পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। চোরদের গ্রেপ্তার ও ক্যাবল উদ্ধারে অভিযান চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • দুইদিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ২ মাস চলে গেল, আর কবে বই পাবে শিক্ষার্থীরা
  • বিকাশ–রকেট–ডেবিট কার্ডে কেন মেট্রোরেলের রিচার্জ সুবিধা চালু হচ্ছে না
  • গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধে জাতিসংঘ ও আরব দেশের নিন্দা
  • অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে
  • রমজানে লোডশেডিং বন্ধে সবার সহযোগিতা চাইলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
  • ভোজ্যতেল নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছেই
  • গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল
  • ২৫ নং ওয়ার্ডে পাম্প হাউসের ক্যাবল চুরি, দুর্ভোগ