Risingbd:
2025-01-31@13:44:41 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

Published: 24th, January 2025 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত তারকা অক্ষয় কুমার। বাবার পথ অনুসরণ করার আগ্রহ নেই তার দুই পুত্র-কন্যার। কিন্তু মামার মতো অভিনয়ে পা রাখতে যাচ্ছেন অক্ষয়ের ভাগ্নি সিমর ভাটিয়া।

পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন নির্মাণ করছেন ‘ইক্কিস’ শিরোনামে সিনেমা। হিন্দি ভাষার এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে সিমর ভাটিয়ার। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দাকে। এতে জয়দীপ, ধর্মেন্দ্রর মতো তারকারাও অভিনয় করবেন।

 

আরো পড়ুন:

আমি মায়ের লেভেলে পৌঁছানোর চেষ্টাও করব না: খুশি কাপুর

গায়িকা মোনালি ঠাকুর সত্যি হাসপাতালে?

সিমর ভাটিয়ার বলিউড যাত্রা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। খবরের পাতায় ভাগ্নির ছবি দেখে আপ্লুত অক্ষয় কুমার। তা নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্মৃতিচারণ করে অক্ষয় কুমার লেখেন, “খবরের কাগজের প্রচ্ছদে প্রথম যে দিন নিজের ছবি দেখেছিলাম, সেই স্মৃতি মনে পড়ছে। সেদিন মনে হয়েছিল— ‘জীবনে সবকিছু পেয়ে গিয়েছি।’ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সন্তানের ছবি দে‌খার আনন্দের কাছে তা কিছুই না।”

 

অক্ষয়ের বোন অল্কা ভাটিয়া পেশায় একজন প্রযোজক। ১৯৯৭ সালে বৈভব কাপুরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর কন্যাসন্তান সিমরের জন্ম হয়। কিন্তু অল্কা-বৈভবের সংসার বেশি দিন টিকেনি। আলাদা হয়ে যান এই যুগল।

 

মুম্বাইয়ের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন সিমর ভাটিয়া। সেই স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ফ্লোরিডা, লস অ্যাঞ্জেলেসের কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাঠ সম্পন্ন করে মুম্বাইয়ে ফিরেন সিমর।

 

ছোটবেলায়ই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন সিমর ভাটিয়া। মা প্রযোজক, মামা অভিনেতা। পরে মামার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিডিয়ার আলো থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন সিমর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলেও নেটিজেনদের নজরে পড়েননি।

 

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেবেড়াতে ভালোবাসেন সিমর। সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। তবে অক্ষয়ের ভাগ্নি বলিপাড়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন, এই আলোচনা শুরু হতেই সিমরকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ে নেটিজেনদের। দ্রুত বাড়তে থাকে তার অনুসারীর সংখ্যা। এরই মধ্যে তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ