গোপালগঞ্জে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইউসুফ খান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৪ জন। নিহত মোটরসাইকেল চালক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের ফারুক খানের ছেলে। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হরিদাসপুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, ইউসুফ খান তার অপর এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে জেলা সদর থেকে মোটরসাইকেলে করে  চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। বিপরীত দিক থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক জেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল। হরিদাসপুরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও ইজিবাইকের তিন যাত্রীসহ মোট পাঁচজন আহত হয়। আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে সেখানে মোটরসাইকেল চালক ইউসুফকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আফতাফ জিলানী মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ওই যুবকের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ম খ ম খ স ঘর ষ গ প লগঞ জ গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বনানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চালকদের আন্দোলন উত্তপ্তে রূপ নেয়। আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে গেলেই রিকশাচালকদের হামলার শিকার হতে হয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বনানী ১১ নম্বর রোড সংযোগ সেতুর সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে যে কোনো ব্যক্তি ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলেই চালকরা তাদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানান, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আন্দোলনের ছবি তুলতেই চালকরা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। 

তিনি বলেন, ‘‘অফিস সহকারীর সহায়তায় কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি। অটোরিকশা চালকরা বড় রামদা ও লাঠি নিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করেছেন।’’

বনানী সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আমজাদ জানান, তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু রাস্তায় দাঁড়ালে চালকরা তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ছবি তুলতে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে দুই বন্ধুকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘‘অটোরিকশা চালকরা বস্তি থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে সোসাইটির বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এই ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।’’

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা আন্দোলন করছিল। ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ট্রোক করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল রোগীর
  • ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ