নাকের ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর করার উপায়
Published: 24th, January 2025 GMT
শীতে বায়ু দূষণ বেড়েছে। বাতাসে ধুলাবালুর প্রকোপ অনেক বেশি। এ সময় ত্বকে ধুলাবালু ঢুকে প্রথমে সাদা শাল বা হোয়াইটহেডসে পরিণত হয়। এগুলো ক্রমে ব্ল্যাকহেডসে রূপান্তরিত হয়। যদি শুরু থেকেই সাদা শালগুলো দূর করা যায়, তাহলে ব্ল্যাকহেডস হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ঘরে বসেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু পরামর্শ রইল।
এক.
দুই. গ্রিন টি-এর পেস্ট বানিয়ে নাকে ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে পারেন। তারপর আলতো করে ঘঁষে ব্ল্যাকহেডস তুলে ফেলতে হবে। এ পর্যায়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে নাক ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুন:
রৌদ্রস্নাত মিমের নজরকাড়া লুক
শীতে রূপচর্চায় সোনাক্ষীর পরামর্শ
তিন. চালের গুঁড়ার সঙ্গে এ চা চামচ টক দই ও দুই-তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন নাকে-চোয়ালে। এরপর মৃদু মালিশ করে ব্ল্যাকহেডস দূর করে নিতে পারেন।
চার. লোশন বা ম্যাসাজ ক্রিমের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে হালকা করে নাকে কিছু সময় মালিশ করুন। নাকের ত্বক নরম হলে গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সাদা শালগুলো তুলে নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, অনেকের মানসিক চাপের কারণেও নাকের ওপর ব্ল্যাকহেডস জমে। মানসিক স্বস্থি ফেরাতে ইয়োগা করতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে প্রলোভনে মিয়ানমারে দুই বছর জেল খাটলেন ২০ কিশোর–তরুণ
কারও বয়স ১৬, কারও ১৮ ছুঁই ছুঁই। দালালের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। পরিবারকে না জানিয়েই রওনা দিয়েছিলেন অবৈধ বিপদসংকুল সাগরপথে। কিন্তু মিয়ানমারে পৌঁছেই আটক হন তাঁরা। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২২ মাস কারাভোগ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২৩ সালের জুনে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক এসব কিশোর–তরুণ আজ মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসে তাঁদের নেওয়া হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে অপেক্ষারত পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয় এসব কিশোর–তরুণকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে বাস থেকে একে একে নামেন তরুণেরা। ছেলে কিংবা ভাইকে এত মাস পর কাছে পেয়ে দৌড়ে যান স্বজনেরা। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, অসাধু দালালেরা এসব কিশোর–তরুণকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁরা আটক হন। তাঁদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফিরে আসা কিশোর–তরুণেরা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। মালয়েশিয়া যাত্রার কথা কেউ পরিবারকে জানাননি। প্রায় এক মাস পর স্বজনেরা জানতে পারেন তাঁরা আটক হয়েছেন। এক বছর আগে সরকারের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কাগজপত্র জমা দেয় পরিবার।
ফিরে আসা এক কিশোরের বোনের স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরিবারকে না জানিয়েই আমার শ্যালক দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল। সে মিয়ানমারে আটক হয়। প্রায় এক মাস পর আমরা জানতে পারি। এখন সে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
কিশোর–তরুণদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য যাচাই করে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছি।’
এর আগে গত রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সমুদ্র অভিযানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেন। আজ সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।