ভালুকায় শীতকালীন পিঠা ও তারুণ্যের উৎসব হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ পিঠা উৎসব হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পিঠা উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবে শিক্ষার্থীদের স্টলে স্টলে শীতকালীন পিঠা সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। সুজি পিঠা, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, দুধচিতই, পুলি, পাটিসাপটা, সেমাই পিঠা, ভাপাসহ হরেক রকমের শীতের পিঠা স্থান পায় স্টলে। পিঠা উৎসব আয়োজনে মানুষ আগ্রহ নিয়ে আসছেন ও উপভোগ করছেন।
হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ জুয়েলের সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম। বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।