Samakal:
2025-03-04@00:58:12 GMT

রাত নিশুতি

Published: 23rd, January 2025 GMT

রাত নিশুতি

এই পথ দিয়ে এখন সহজে হাঁটতেই পারে না কেউ। ছুটির দিন শুক্র-শনিবারে তো পা-ই ফেলা মুশকিল। মৌসুমের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও এখন চাকরির পরীক্ষার উপযুক্ত কেন্দ্র এই বিদ্যালয়। এইসব দিনে ফুটপাতে পত্রিকা-নোটবইয়ের পাতা বিছিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকে অগণন নারী-পুরুষ। এদের অধিকাংশই গ্রাম-মফস্বল থেকে এসেছে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গী হিসেবে। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে ওরা অবশেষে উঠে গেলে ওদের আসনের কাগজগুলো নকশা করা ফুটপাতের সাথে লেপ্টে থাকে। তখন এসব অন্য আরেক নকশা হয় সাদা-কালো।  
বিদ্যালয়টির পুরো দেয়াল ঘেঁষে যে ফুটপাত, তার ওপর কংক্রিটের স্থায়ী বেঞ্চ লাগানো। স্কুলের ছাত্রীদের মায়েরাই অধিকাংশ সময় উপবিষ্ট থাকেন। তারা উঠে গেলে এখানে ঠাঁই হয় ভবঘুরে, কখনও শ্রমজীবীদের। তবে নাকে রুমাল-টিস্যু গুঁজে না দিয়ে কেউ এই ফুটপাত পেরোতে পারে না। দেয়ালজুড়ে মনীষীদের উৎকীর্ণ বাণীগুলো তখন বেমানানই ঠেকে। ফুটপাতের কোথাও কোথাও বড়-ছোট মাছি জমে থাকে মৌচাকের মতো। মানুষের পদশব্দে এরা উড়ে যায়, তবুও মেঝেতে কিছু চোখে পড়ে না। এত মানুষের আঙুল কিংবা পায়ের পাতার চাপে পিষ্ট হতে হতে দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রাতে ত্যাগ করা বিষ্ঠার দলা উধাও হয়ে যায়। এতে সিটি করপোরেশনের পয়সা বাঁচে, ধাঙড় নিয়োগের কসরত করতে হয় না। কিন্তু গন্ধ তো থেকে যায়, মাছি বসবে না-ই-বা কেন? গন্ধও তাহলে একটা খাবার। দিনের আলোয় যে কালো কুচকুচে উদ্বাস্তুটি শুয়ে আছে, তার মতো শরীর নয় লালু কিংবা হাসুর। মানুষের শরীর এত ময়লা হয় কী করে? মনে হয় জীবনে সে স্নান করেনি। খালি গা, কিন্তু নিম্নাংশে ময়লা জিন্সের প্যান্ট। বাবরি চুল, ঈষৎ দাড়ি গজিয়েছে। কিছুক্ষণ লেপ্টে থাকা সূর্যের আলো ওর ঘুমকে মোটেও বিঘ্নিত করে না। এখানে সেখানে বসে থাকা বাইরের কতিপয় ছাত্রী কোন উদ্দেশ্যে নোটবই পড়ে, তা বোঝা যায় না। প্রতিদিন তো আর পরীক্ষা থাকে না। এরা কি এই ওছিলায় কারও জন্য অপেক্ষা করে? হয়তো করে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় মেয়েটি ছেলেসঙ্গীর সাথে সময় কাটায় কিংবা ছেলেটি কোনো মেয়ের সাথে। তবে রাতে যারা দাপিয়ে বেড়ায়– সেই লালু কিংবা হাশেম ওরফে হাসু অথবা জমসু, দিনের বেলায়ও কালেভদ্রে আসে। এ কি কেবলই জায়গার মায়া, না অন্য কিছু? কেউ কেউ বলতে চায় এই বেশেই নাকি লোকজন গোয়েন্দাগিরি করে। যা-ই হোক, এরা যেন রাত আর দিন ভাগ করে নিয়েছে। দিনে শাসন করবে কর্তৃপক্ষ, রাতে এরা। এটি না স্বৈরতন্ত্র, না গণতন্ত্র। প্রহরারত পুলিশের ভাষ্যে এসব আপনতন্ত্র। তবে নিশুতি রাতে একজনকে বর্জ্য ত্যাগরত অবস্থায় পুলিশ রুলের গুঁতো দিতে দিতে জানতে পেরেছিল, এ হচ্ছে নিরুপায়তন্ত্র।  
কোনো একটা মুল্লুক শাসনের যেন এক অলিখিত নিয়ম চালু হয়েছে। লালু-ভুলুরা এখানে আসে অনেকটা বাধ্য হয়েই। উদ্বাস্তু-উন্মূলের শহরে ভবঘুরেও ঠাঁই করে নেয়। একসময় শহরটি ফ্লাইওভারে ছেয়ে গেলে আকাশ রুদ্ধ হয়, তখন এসবের নিচে ভালো আশ্রয় পেয়েছিল ঘরহীন মানুষ। তবে ফ্লাইওভারের তলা বাণিজ্যিকীকরণ হলে অনেকের অসুবিধা হয়। ঘেরাও দেওয়া বস্ত্রের ভেতর কী হতো কে জানে! আজ হাসু বলে লালুকে, “তুই না মগবাজারের নিচে থাকতি, এহন এইহানে ক্যান?”
“আরে সারাদিনের মাছ বেচার পানির গন্ধ থাহে। এইহানে তো এই রকম বিছানাও নাই। সোম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করি, বুঝলি না।” “রেলগাড়ির মতো গদির বিছানা অইলে বুঝতি সম্পদের ব্যবহার কারে কয়। পাক্কা বেঞ্চি না অইলে চিমটানিতে সর্বোচ্চ ব্যবহার অইয়া যাইতো। বাসে-গাড়িতে উঠলে মনে অয় সিটগুলা পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে। এই লালু, তুই না কইছিলি ফ্যাক্টরিতে কাম করবি।” 
“পাইলে তো করিই। মেশিন ঘুরাইতে কী লাগে?” 
“আরে হালা, এইডা কি আমাগো বোরো ক্ষেতের শ্যালো মেশিন পাইছস?”
“যেই মেশিনই হোক, আমি পারুম। আরে রক্তের একটা শক্তি আছে না? আমার দাদা কারখানায় কাম করত, তার মুখে কত কিচ্ছা শুনছি। কেমনে শ্রমিকরা ভোর না অইতেই কারখানার গেটে লাইন ধইরা খাড়াইত। আর মেশিন চালু অইলে চিমনির ধুঁয়া উপরে উঠতে উঠতে আসমানের মেঘের লগে গিয়া মিলত। এইসব এহন নাই। সব জায়গায় খালি টিপাটিপি।” এসব বলে লালু কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে থাকে। অতঃপর পশ্চিম দিকে কাত হয়ে শরীরটা ঐদিকে ঠেলে দেয়। মাথার ওপর ছাউনি থাকলেও দেয়ালটাই বড় আশ্রয়। এজন্য অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও বেঞ্চ থেকে কখনও পড়ে যায় না। এ দেয়ালের কোনো কানও নেই, ওরা যখন নিশুতি রাতে কথা বলে, ঐপারে তখন ওদের কথা শুনবার জন্য সন্তর্পণে কেউ দাঁড়িয়েও থাকে না। এটা নিরাপদ দেয়াল।
খানিক বাদে জমশেদ আলী ওরফে জমসু এসে মাস্তানি শুরু করে দেয়। জোরে কথা বলাটাই তার মাস্তানি, যা এই স্তব্ধতার সাথে বেমানান। বলে কিনা– “এই ব্যাটারা ব্যাংকের কাছাকাছি বইয়া গুলতানি মারলে ব্যাংক ডাকাতি অইলে ধরব আমাগোরে। একটু দূরে গিয়া বয়।”
এ সময় আড়মোড়া ভেঙে লালু উঠে বসে।
হাসু বলে– “এহন আর ব্যাংক ডাকাতি অয় না, চাইর দিকেই দেখস্ না ফকফকা লাইট।”
“আরে কিশোরগঞ্জে তো ডাকাতি অইছিল সুড়ঙ্গ কাইটা।” 
“তাতে কী, যেইখানে অন্ধকার, সেইখান থাইকাই সুড়ঙ্গ কাটা শুরু করে”– এ হলো হাসুর জবাব। 
“এহন সব জায়গায়ই লাইট।” অনিচ্ছা সত্ত্বেও লালু বিষয়টা ধরিয়ে দেয়। 
“ঠিক, এই জন্যই তো সিঁধকাটার ভাত মরছে। তবে ওস্তাদেরা আন্ধাইরেই চোখে বেশি দেহে।” জমশেদ আর চুপ থাকে না।
“প্রশ্ন অইলো, আলো সুড়ঙ্গের শুরুতে না লাগলেও শেষ মাথায় তো লাগেই?”  
লালুর তন্দ্রা পুরোটাই কেটে যাওয়ায় সে সতেজ কণ্ঠে বলে, “এই জমশা, অতো যে লেকচার মারছ্, এই ব্যাংকের ভিতরে দিনের বেলায় কী অয় কুনু দিন দেখছস?”
“দেখুম না আবার?”
“তাইলে ক’ হুনি।”
“এহন তো আর দু’নলা বন্দুক নিয়া দারোয়ান বইয়া থাহে না, তাই একদিন ঢুইকা গেলাম। দেহি কাউন্টারে কী জানি একটা অইছে। সবার ঐদিকে চোখ বইলা কেউ আমারে কিছু জিগায় নাই। লুকটা আসছে বউয়ের দেওয়া চেক নিয়া টেকা তুলতে। কিন্তু চেকের সইয়ে বারবার ক্যাশিয়ার সাবের সন্দেহ। একজন কইলো– আরে ফেমিলির চেক অইলে দিয়া দেন, অতো কথা ক্যান? লুকটা টেকা নিয়া বিদায় অইলে ক্যাশিয়ার বলে, জানেন না ভাই এহন কতো কী অয়। আমাগো মতো নিষ্কর্মা-ভাদাইম্যা স্বামীরা নাকি বউয়ের টেকা মাইরা দেওয়ার ধান্ধায় থাহে। হা হা!” 
“জমশা রে, এই ইস্কুলের নাম জানস?” 
“ভিকারুন্নেসা।”
“আরে পুরা নাম ক’।” লালু একটু জোর দিয়ে বলে। 
“ভিকারুন্নেসা নূন।”
হাসু হাবার মতো বলে ফেলে– “তাইলে কি ভিক্ষা কইরা আর নুন বেইচা ইস্কুল বানাইছিল কেউ?”
“খবরদার এমন কথা কইছ না। আর কইলেও কুনু দিন ফেসবুকে দিবি না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা অইতে পারে।” 
“অই হালা নিমচা অইলেও ওরে চাবি তো একখান মাইরা দিলি জমশা। আমি জানি হালায় ছিচকামি করে একটা স্মার্ট মোবাইল কিনার লাইগা।” 
তখন দুটো মেয়েকে আসতে দেখে ওরা সতর্ক হয়ে ওঠে।
জমশেদ বলে, “অতো রাইতে কইত্থে? একটু বসো এইহানে, বিশ্রাম নিয়া যাও।” 
“আমরা বাসায় কাম করি।” 
“অতো রাইতে? কী কাম?” 
“তার কোনো ঠিক আছে?”
“তা বসো।” 
“না, এইহানে ছাদ নাই।” 
“এই যে আছে।”
“এইডা ছাদ না, ছাউনি।”  
“ও বুঝছি, তোমরা ইস্মার্ট।” 
ওরা হিহি হেসে উঠতেই ছেলেগুলোর সন্দেহ হয়। 
“পুলিশের ভয় আছে তোমাগো,” বলে হাসু। 
“আমরা কি এইহানে বসছি? এই জন্যই তো খাড়াইয়া থাহি।” 
“তোমরা সত্যিই বাসায় কাম করো, না অন্য কিছু”– এইবার সরল মানব লালুও পুলিশি জেরা শুরু করে দেয়। 
“সত্যই করি।” 
“অতো রাইতেও কাম?” 
“আমাগো খালাম্মার আত্মীয়ের বিয়ার কাম আছিলো।” 
“রাইতেও বিয়ার কাম, জিন্দেগি বরবাদ, তার চাইতে গারমেন্টস্ই তো ভালা।” 
“না, ঐখানে খালি দেওয়াল। শুনছি একবার ঢুকলে আর বাইর অওয়া যায় না। এই জন্যই আগুন লাগলে মানুষ পুড়ে।” 
“ঠিক কইছো। বাসাবাড়িতে কাম আমিও করছি। কিন্তু ঐখানে কোনো আসমান থাহে না।” 
“এর লাইগ্যে খোলা আসমানের নিচে আইয়া ভাদাইম্যাগিরি?” মেয়েদের জবাব বেশ কড়া। 
এইবার লালুর মুখে খই ফুটতে থাকে– “তা কইতে পারো। তয় আমি তোমাগো সব জারিজুরি জানি। শোনো, আমার দাদা আছিলো ফ্যাক্টরির সুবারভাইজার। তখন শ্রমিকরা ছিল ভিমরুলের চাকের মতো, সংখ্যায় ম্যালা। কিছু অইলেই দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য রাস্তায় বইয়া যাইতো। আর এহন তোমরা অইছো সংখ্যায় অল্প। একদিন আসো তো অন্যদিন আসো না। মাসে পনেরো দিন কাম কইরাও পুরা বেতন নেও। তোমাগো খালাম্মাদের না দিয়া কুনু উপায় যে নাই। এইডা অইলো উল্টা শোষণ, বুঝছো? যাও এখন।” 
জমশেদ বলে, “চলো তোমাদের আগাইয়া দিয়া আসি।” 
“না, লাগবো না”– মেয়েদের একজন বলে।
“তবে হুইনা যাও, তোমাগো খালাম্মারা আদতেই অসহায়। বিষব্যথায় জর্জরিত। আরও ছোট থাকতে কত যে পাও আর কোমর টিপছি তাদের। কাঠের মেইড ইন চায়না হাতুড়ি দিয়াও পিডে ম্যাসেজ করছি।” 
মেয়ে দুটো বাঁকা হাসি দিয়ে চলতে শুরু করে। জমশেদ অযাচিতভাবে এদের পিছু নেয়। ছোট মেয়েটি পথে পড়ে থাকা কিছু গুলঞ্চ ফুল কোঁচড়ে নিয়ে বড়টিকে অনুসরণ করে। 
এদের বিদায়ের পর হাসু ঝিমিয়ে পড়ে। কিন্তু উত্তেজিত কথার রেশ থেকে যাওয়ায় লালুর ঘুম আসে না। সে একটা বিড়ি ধরায়। অতঃপর হাসুকে বলে, “দিনের বেলায় তো এই জায়গাটা ভদ্রলোকদের দখলে থাহে, তখন কী অয় জানস্?”
লালুর প্রশ্নে হাসু উঠে বসে। 
“ম্যাডামরা খালি সংসারী আলাপ করে আর নিজের মাইয়াগো চিন্তায় অস্থির থাহে। কখনও ভেইলপুরি আর আমড়া-তেঁতুল, চাপ খায়। ছুটি অইলে মাইয়াগোরেও দেয়। ঐদিন হুনি এক ম্যাডাম আরেক ম্যাডামরে কয়, ‘যাদের স্কুলটাই শুরু হয় ময়লা আর আবর্জনা দেইখা তারা কী হিখবো কন তো দেখি আপা?’ ‘আরে বাদ দেন আপা। শহরের যেইখানে ময়লার ভাগাড় আছে, তার পাশের কেউ তো জানালাই খুলতে পারে না। আল্লাহ্ আল্লাহ্ করেন, রিজল্টটা ভালা অইলেই অয়।’ মায়েদের আলাপ মেয়ে ডাক্তার অইবো, না ইঞ্জিনিয়ার অইবো, তার মইধ্যেই আটকা।” 
লালু বলে– “অইলেই কী, শেষ পর্যন্ত তো ঐ বিদেশ। দেশে থাহে কেউ?” 
“এই, তুই জানস্ ক্যামনে?”
“জানি।”
“আরে এই জন্যই তো ভালা ইস্কুলের শিক্ষা দরকার।” 
“পুরুষদের আলাপাটা কেমন অয় ক’ দেহি।”
“বাজারদর ছাড়া অন্য কোনো আলাপ নাই।” 
“তা তো অইবোই, পকেটের পয়সা তো তাগোই যায়। নতুন কইরা আবার ট্যাক্স-ভ্যাট বসাইছে, কথা কইবার সময় সরকাররে গাইলও দেয় শুনি।”
“একজন কইলো, ‘তাও তো ভাই আমরা মধ্যবিত্তরা এহনও মাছ-মাংস খাইতে পারি।’ আইচ্ছা, মধ্যবিত্তটা আসলে কী ক’ দেহি।” 
“কী জানি, জমশেদ হালায় থাকলে কইতে পারতো।” 
“ঐ হালায় না জানি এহন ছেরিগো লগে কোন তাফালিং করতাছে।” 
দু’জনেরই আলাপে ছেদ পড়ে অদূরের একজনের ‘ওয়াক ওয়াক’ বমির শব্দে। 
“আরে লুকটা বমি করে ক্যান?” 
“কী করবো, দ্যাখ এক কোনায় লেখা আছে– এইখানে পায়খানা করা নিষেধ, তাই বমি করতাছে।” 
“এহন কী অইবো?”
“কী আর অইবো, সকালে কাওয়ায় খাইয়া ফালাইব। এই শহর তো কাওয়ারই। কত রকমের কাওয়া, মানুষও কাওয়ার মতো করে। কাওয়া গু খায় না ঠিক, তয় বমি খায়।” 
এইবার লালুকে শেষরাতের ঝিমানো পেয়ে বসে। সে সটান শুয়ে পড়ে শবাসনের মতো। তার কালো শরীরটাকে হাসু ভাবে কারখানার ধোঁয়ায় লেপ্টানো কিংবা সদ্য যেন সে কয়লার খনি থেকে উঠে এসেছে। সে আরও একটা সিগারেট জ্বালালে সেটির ধোঁয়া চিমনির ধোঁয়ার মতো খাড়া ওপরে উঠতে থাকে। 
এই ধোঁয়া যেন ইঙ্গিত দেয় রাতের জড়তা ভেঙে এখনই কলকারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তাকে যদি কাজে ডাকা হতো, তবে আসল ধোঁয়াটা সে দেখতে পেত। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ ক ম কর

এছাড়াও পড়ুন:

অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো

জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। এবারের আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকান তারকা জো সালদানা। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ চলচ্চিত্রে একজন আইনজীবীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি উঠেছে তাঁর হাতে।

স্প্যানিশ-ভাষার সংগীতনির্ভর ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সের জ্যাক অঁদিয়ার। অস্কারের মতো এমন অর্জন হাতে নেওয়ার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী।

মঞ্চে উঠে আবেগাপ্লুত জোয়ি তাঁর মাকে স্মরণ করেন এবং ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি শিল্প জগতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমার দাদি ১৯৬১ সালে এই দেশে এসেছিলেন। আমি গর্বিত একজন অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান, যারা স্বপ্ন, সম্মানবোধ ও কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান, যে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছে। আমি জানি, আমি শেষ ব্যক্তি নই। আমি আশা করি, এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই চরিত্রে আমি গান গাওয়ার ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। যদি আমার দাদি আজ বেঁচে থাকতেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হতেন।’

তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে দিলেন যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর আগ্রাসন চালাচ্ছে।

চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ একাডেমি পুরস্কার তথা অস্কারের আয়োজন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। আয়োজনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা কিয়েরান কালকিন। ‘আ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

অন্যদিকে, এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।

সেরা অ্যাডাপ্ট চিত্রনাট্যর পুরস্কার পেয়েছে আলোচিত ছবি ‘কনক্লেভ’। এছাড়া পল ট্যাজওয়েল ‘উইকেড’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পোশাক পরিকল্পনাকারী এবং শন বেকার ‘আনোরা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজাদপুরে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ ঢামেকে
  • অনিয়মের খোঁজ নেওয়ায় সাংবাদিকের চাকরি খাওয়ার হুমকি বেরোবি কর্মকর্তা
  • ইসরায়েলে ছুরি হামলায় নিহত ১, আহত ৩
  • ভোলায় চুরির অভিযোগে একজনের দুই চোখে গুরুতর জখম, কাটা হলো দুই আঙুল
  • ৭টি মৌলিক হক
  • ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডা: পশ্চিমাদের জেগে ওঠার বার্তা
  • নদীতে ভেসে উঠল আরেকজনের লাশ, নিহত বেড়ে ৫
  • হাতে ভাজা মুড়ি, শাশুড়ির পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্চনা
  • অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরে কাঁদলেন মার্কিন অভিনেত্রী
  • অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো