Samakal:
2025-03-03@20:05:18 GMT

পদাবলি

Published: 23rd, January 2025 GMT

পদাবলি

প্রতিভাময়ীর প্রেমে
মারুফ রায়হান
 
গানের সঙ্গে গদ্যের প্রেম হলো
তোমরা অবাক হলে
গহিন সুরের সাথে নুড়িপাথরের প্রেম হলে
তোমরা চমকে যাও, কেন!
প্রতিভাময়ীর প্রেমে আমি বারবার সন্তপুরুষ

স্থাপত্যের সাথে বুঝি শব্দের প্রেম হতে নেই
আমি চিরকাল থরোথরো নিঃশব্দ শব্দ
সে আজ আশ্চর্য স্থপতি
আমার মনের নকশা বদলে বদলে দিচ্ছে
কেন তবে প্রতিভাময়ীর প্রেমে 
শব্দকে সশব্দ হতে দেব না, বলো?

শাস্ত্রীয় সংগীতের সাথে কবিতার ছন্দ ও মিল
খুঁজে পেল একবার জীবনের অন্ত্যমিল
কবিতায় যদি রাগিণী বেজে ওঠে, আর
রাগিণীর স্তনের মন্দিরে মাথা রাখে কবিতা
তাতে জগতের কী ক্ষতি, বলতে পারো?
ঈর্ষায় মূর্ছা যায় তবু নীতিভ্রষ্ট বিচারক

জলরংশিল্পী বুঝি ফ্যাশন মডেলে মুগ্ধ হতে পারে না
এই প্রেমকে সামাজিক চোখে দেখো না দেখো না
শিল্পী সতত থাকে শিল্পেরই প্রেমে
যেমন কবিতা সারাক্ষণ থাকে নৃত্যের আলিঙ্গনে
নর্তকী নশ্বর, আর কবিতা অবিনাশী
আমি নগণ্য কবি বটে, তবে
আমার ধ্বনিরা আজ ক’জন প্রতিভাময়ীর প্রেমে
শূন্যতায় গড়ে চলেছে বিমূর্ত বাসর

 

 

বহুদূর থেকে ভেসে আসা সুর
আরিফ মঈনুদ্দীন
 
বহুদূর থেকে কী এক শব্দ ভেসে আসছে
অনুমান-আন্দাজ করার আগে ভাবনার পাল খাটিয়ে খানিক
তাকিয়ে থাকি দূরের পর্দায়– অদৃশ্য অথচ জ্বলজ্বল-করা
সৃষ্টিসীমায় দিগন্তপ্রসারী হাওয়ার নাচন এখানে
তোমার তরল জ্যোৎস্না উপস্থিত হবে পূর্ণিমায়

উপভোগের আলোয় যারা অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত
তারা দেখবে আমার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা লেখা হয়ে আছে
                                            দলিলের পৃষ্ঠা জুড়ে
তাই আমি সোজা পথ ধরে নির্দেশিত কথামালা
কর্ম তালিকায় তুলে নিয়ে একটি একটি করে
                 রূপায়ণ প্রক্রিয়ায় হাত দেবো
কতটুকু সময় বরাদ্দ তা যেহেতু জানা নেই
আমার তাড়াহুড়োর পাশ কাটিয়ে কঠিন দৃঢ়তায় বেছে নেবো
                                            সময়ের শ্রেষ্ঠ অংশ
যতখানি জীবন না-পারার কিছুই নেই
     কেননা ততখানিই নির্ঘণ্ট আমার
বাকিটুকু ফেলে রাখা হবে তোমাদের জন্য

এভাবেই শতাব্দী আসবে আর যাবে
সভ্যতার শেষ লগ্ন অবধি মানব-মানবীর বাক প্রতিমাই
                                   ইতিহাসে লেখা রবে।
সেই শব্দই স্বপ্নে অথবা জাগরণে ভেসে আসে নিশিদিন
যারা ধরতে পারে তারাই সাফল্যের বরপুত্র
                        নবীন কিংবা প্রবীণ।
 

 

বসন্ত বিবাদ
অনুভব আহমেদ 
 
তোমার সাথে আমার কোনো বসন্ত নাই, কলহ আছে

আছে–
পার করেও পার করা যায় না এমন দূরত্বে
ধুরন্ধর হাওয়ায় নিরুদ্বেগ উড়া পাতার নিনাদ

আমি তো বাতাস বেয়ে গড়িয়ে পড়া ফুলের ঘ্রাণে
রাষ্ট্রবাহী শবের প্রতীক
চিৎকারে চিৎকারে গুম হয়ে যাওয়া বাঁকের বাঁকে
আমার শরীর স্রোতের খড়কুটো
মাছেরা ঠুকরে খায়

আমার কোনো বসন্ত নাই
পাখিরা গায়, ধুলো ওড়ে
তোমাকে করা ফোন কেটে যায়
সহজ যোগাযোগের দিনে দুর্বল হয়ে থাকা সেতুটা ভেঙে যায়

ছড়া কাটার ছলে আমাদের কেটেছিল যে সাপ
আমি তার বিষ বয়ে বেড়াই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর

হয়তো কোনো বসন্তে
তোমার মতো কেউ আসে
আমি সেই ঠোঁটে ক্ষত রাখি

আমি ভয় পাই, আমি দেখি
তারও কোনো বসন্ত নাই
আছে–
নিরুদ্বেগ হাওয়ায় উড়ে যাওয়া পাতা, ধুলোর ঝড়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ