স্কুলশিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা, আনিকা আশরাফী ও ফাহিম মুন্তাসিরের বাড়ির পাশেই বিশাল মাইলমারী পদ্মবিল। শীতবিকেলের বেশির ভাগ সময় তারা এখানেই ঘোরাঘুরি, খেলাধুলা করে কাটায়। জায়গাটি তাদের খুব পছন্দের। কারণ প্রতিবছর এই সময়ে পদ্মবিলে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি আসে। নানান জাতের এসব পাখির কলতানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। এসব দৃশ্য দেখতে শিশু ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করেন বিলে।
প্রায় ১২০ বিঘা জায়গাজুড়ে রয়েছে মাইলমারী পদ্মবিল। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার এই বিলে গত কয়েক বছরের তুলনায় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বেড়েছে। কারণ, বিলপারের মানুষ উদ্যোগী হয়ে পাখি শিকারিদের পদ্মবিলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের প্রতিরোধের মুখে বর্তমানে পাখি শিকার বন্ধ। তাই ৫-৬ বছর ধরে সুদূর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, চীনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে পাখি বেশি আসছে। বিল এলাকায় এখন মুখর হরিয়াল, হাড়গিলা, রাতচোরা, বালিহাঁস, কাদাখোঁচা, ডাহুক, শামুকখোল, হটিটি, সরাইল, পানকৌড়িসহ নানা ধরনের দেশি ও অতিথি পাখি বিচরণ করছে। এসব পাখি সারাদিন বিলে পানিতে, কচুরিপানার ওপর ঘুরে বেড়ায়। রাত হলে আশ্রয় নেয় বিলপারের গ্রামগুলোর গাছে।
কৃষক সানাউল্লাহ গাজী ও আলমগীর হোসেন বলেন, দূরদেশ থেকে আসা পাখিদের আমরা নির্ভয়ে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছি। গ্রামবাসী একাট্টা– নিজেরা কেউ পাখি ধরব না, কাউকে ধরতেও দেব না। 
মেহেরপুর বার্ড ক্লাবের সভাপতি ও পাখি গবেষক এমএ মুহিত বলেন, নানা ধরনের পাখি মাইলমারী পদ্মবিলে দেখা যায়। কিছু শিকারি শীত এলেই বিভিন্ন ফাঁদ পেতে গোপনে পাখি শিকার করে। তবে সচেতন নাগরিকরা পাখির আবাসস্থল রক্ষা করছেন। ফলে নির্ভয়ে বিচরণ করছে পাখিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিতম সাহা বলেন, বিলের পাখিরা যাতে নিরাপদে বিচরণ করতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ