উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বুধবার দিবাগত রাতে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা ৫-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সলসবুর্গকে। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এর মধ্য দিয়ে গোলের রেকর্ডও গড়েন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
৫৫ ও ৭৭ মিনিটে করা গোল দুটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে তার ২৭ ও ২৮তম গোল। এর মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্রাজিলিয়ান হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় ভিনি অবস্থান নিয়েছেন তৃতীয় স্থানে। ৪৩ গোল নিয়ে নেইমার আছেন শীর্ষে। আর কাকা ৩০ গোল নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। পরের ম্যাচে আবারও জোড়া গোল করতে পারলে ভিনি ছুঁয়ে ফেলবেন কাকাকে।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের মতে এই ম্যাচে ভিনি শতগোল পেরিয়ে গেছেন। এই দুটি গোল ছিল যথাক্রমে তার ১০০ ও ১০১ তম গোল। তাদের দাবি স্প্যানিশ লিগে তার একটি গোল আত্মঘাতি খাতে লেখা হয়েছে। মূলত সেই গোলটিও তার ছিল।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতের ম্যাচের ফলাফল
আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’
চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের এবারের নতুন ফরম্যাটের আসরের শুরুটা যাচ্ছেতাই হয়েছিল। প্রথম ছয় ম্যাচ থেকে তিনটিতেই হেরেছিল কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কায়ও ছিল তারা। কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়ার দাবিদার হয়ে উঠেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আগামী বুধবার রাতে তারা শেষ ম্যাচে লড়বে ব্রেস্টের বিপক্ষে। এই ম্যাচে বড় জয় পেলে তারা নিশ্চিত করবে নতুন ফরম্যাটের নকআউটপর্ব।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন