সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে দুটি পেজ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন তিনি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, ‘ফেসবুকে সারজিস আলমকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্যের কারণে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগে তিনি একটি মামলা করেছেন। এসব মামলা সাইবার ক্রাইম তদন্ত করে। তিনি ফেসবুক পেজের লিঙ্ক ও কিছু ছবি দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়া কিছু বলতে পারছি না। আইনি কার্যক্রম চলছে, তদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে।’

মামলার এজাহারে সারজিস আলম উল্লেখ করেছেন, বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লগইন করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’ এবং ‘ক্রিমিনালস ডিইউ’ নামে দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়েছে। সেখানে তার একটি অব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টকে কেন্দ্র করে এডিটেড কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে একটি পোস্ট আপলোড করা হয়েছে। ওই পোস্টে তার বিরুদ্ধে অসত্য ও মানহানিকর অভিযোগ আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফির জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের জন্য তার বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের চক্রান্ত ও মিথ্যা কিছু অভিযোগও তোলা হয়েছে সারজিসের বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নিজ সিদ্ধান্তে তার সরে আসার বিষয়টিকে মিথ্যা উল্লেখ করে ওই পোস্টে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে; যা অসত্য’, অভিযোগে বলা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে চরম মানহানিকর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, এডিটেড স্ক্রিনশট ও কুরুচিপূর্ণ এডিটেড ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এমন ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা তাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছে, এমনকি তিনি চরম মানহানির শিকার হচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিরল প্রজাতির সাদা প্যাঁচা উদ্ধার

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দুর্লভ প্রজাতির একটি সাদা প্যাঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরুয়াপাড়া গ্রাম থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ধ্যার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেখানেই একটি খোলা মাঠে প্যাঁচাটিকে অবমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালের দিকে গ্রামের বিলে শিশু-কিশোরদের হাতে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির প্যাঁচাটি। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে লোকজন এগিয়ে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। ওই সময় এটিকে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ ও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে এটিকে ওই জায়গাতেই অবমুক্ত করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় কয়েকজন শিশু-কিশোর খেলার সময় প্যাঁচাটিকে পেয়েছিল। পরে প্রশাসনকে জানানো হয়।

প্রাণীটিকে বিলুপ্তপ্রায় দাবি করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এটি সাদা প্রজাতির লক্ষ্মী প্যাঁচা। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রাণীটির সংখ্যা কমে গেছে। এরা দিনের বেলায় দেখতে না পাওয়ায় ছেলেদের হাতে ধরা পড়ে। পরে রাতেই এটি অবমুক্ত করা হয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ