সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ম্যারিকো বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পাসভিত্তিক প্রতিযোগিতা ওভার দ্য ওয়ালের তৃতীয় সিজনের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্ভাবনমুখী এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত দল টিম পাওয়ারপাফ গার্লস।  

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে ৬টি দল তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। এসব আইডিয়ার মধ্যে টেকসই পণ্যের নকশা ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ থেকে শুরু করে সৃজনশীল ব্যবসায়িক কৌশলও ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর টিম কওডন ব্লু এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম এক্লিপ্স। প্রাইজমানির পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল ম্যারিকোর বৈশ্বিক দপ্তরগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ ম্যারিকো বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ