‘জানালা বাংলাদেশ’র ২৪ বছর পূর্তি
Published: 23rd, January 2025 GMT
কমিউনিকেশন খাতের প্রতিষ্ঠান জানালা বাংলাদেশ তাদের ২৪ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। ২৪ বছর আগে রেজাল্ট ড্রিভেন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে কমিউনিকেশন জগতে বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই জানালা বাংলাদেশ শুরু করেছিলো তাদের যাত্রা। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ এখন দাপুটে অবস্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানালা বাংলাদেশ-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে। আজ এটি একটি সোশ্যাল ও বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ কমিউনিকেশনের এক্সপার্ট সল্যুশন নিয়ে প্রিমিয়ার ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেট কমিউনিকেশন এজেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২৪ বছরের এই যাত্রায় জানালা বাংলাদেশ ৩২টি ইন্ডাস্ট্রি ভার্টিক্যালে ৫০০টিরও বেশি ক্লায়েন্টকে সার্থকভাবে সেবা দিয়ে আসছে। শক্তিশালী কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজি ও টুলসের মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ সোশ্যাল কমিউকেশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে।
বিগত ২৪ বছরে প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের দূরদর্শী নেতৃত্বে জানালা বাংলাদেশ একটি ক্রিয়েটিভ স্টার্টআপ থেকে কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজির পাওয়ার হাউজে পরিণত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, জানালা বাংলাদেশ শুধুমাত্র পোর্টফোলিও তৈরিতে নয়; ক্রিয়েটিভিটি, স্ট্র্যাটেজি ও নির্ভুল এক্সিকিউশনেও পারদর্শী।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দীর্ঘ ২৪ বছরের এ যাত্রায় জানালা বাংলাদেশ ১ হাজার ৩৫০ এরও বেশি কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজি ও ১ হাজার ৫০০ এরও বেশি অডিওভিজ্যুয়াল তৈরি করে পৌঁছে গেছে গ্রাম ও শহরের অসংখ্য মানুষের কাছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ১ হাজার ২০০ এরও বেশি অ্যাক্টিভিশনের মাধ্যমে এজেন্সিটি দেশ-বিদেশে ১৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ৪টি মহাদেশের ৯টি দেশে বিস্তৃতির মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ উদ্ভাবনী সমাধানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা অর্জন করেছে।
জানালা বাংলাদেশ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্প সম্পন্ন করেছে, যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। একইসাথে জানালা বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরের জন্যও দারুণ সব প্রোজেক্টে কাজ করেছে, যা উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। শক্তিশালী হিউম্যান রিসোর্স নেটওয়ার্ক তৈরির মধ্য দিয়ে এর সাফল্য আরও প্রতিফলিত হয়েছে। এর মাধ্যমেই জানালা বাংলাদেশ অর্জন করেছে আইএসও সার্টিফিকেট।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’