Samakal:
2025-01-31@13:46:54 GMT

খননেও সরু, আসে না অতিথি পাখি

Published: 23rd, January 2025 GMT

খননেও সরু, আসে না অতিথি পাখি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের সংযোগস্থল কেছুলুটি ও ধূপাটিলা গ্রাম। ওই এলাকার মাঝ দিয়ে পাহাড়ি দেওছড়া (খাল) গিয়ে লাঘাটা নদীতে গিয়ে পড়েছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে দেওছড়া খাল ও সংলগ্ন জলাশয়ে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। নানা কারণে খালটি ক্রমেই সরু ও পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এতে শীত মৌসুমে দেওছড়া খালে আসছে না অতিথি পাখি। 
ধূপাটিলা গ্রামের কৃষক শেরওয়ান আলী, সোহেল আহমদ, মুহিবুর রহমানের ভাষ্য, ‘দেওছড়ার ডেফাজান বিলে প্রত্যেক বছর শীতের সময়ে হাজার হাজার বালিহাঁস (অতিথি পাখি) আইতো। ভোরে পাখির কিচিরমিচির ডাকে আমরার ঘুম ভাঙতো। যুগ যুগ ধরিয়া ইখানো বালিহাঁস, বগুলা (বক)সহ নানা জাতের পাখি আইতো। প্রচুর দেশীয় মাছও পাওয়া যাইতো। বর্তমানে লতাপাতা জমিয়া ও ভরাট হইয়া এখন পানি-উ থাকে না। ছড়া ও বিলে এখন আর বালিহাঁসও আয় না’ 
সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ত্রিশ ফুট প্রস্থের পাহাড়ি দেওছড়া খাল এখন ৮ থেকে ১০ ফুট প্রস্থে পরিণত হয়েছে। এক সময় পাহাড়ি ছড়াটি ৫ থেকে ৭ ফুট পরিমাণ গভীর থাকলেও বর্তমানে ছড়ায় ২ থেকে ৩ ফুট গভীরতা রয়েছে। দেওছড়া খালসংলগ্ন প্রায় একশ একর জমিতে বিল ও জলাশয় রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে ছড়াটি উৎপত্তি হয়ে লাঘাটা নদীতে পড়েছে। মাছসহ নানা জলজ নানা প্রাণী এবং অতিথি পাখির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত দেওছড়া বিল ও জলাশয়টি এখন অস্তিত্ব সংকটে। প্রায় পুরো জলাশয় ভরাট হয়ে ঝোপজঙ্গল ও লতাপাতায় ভরপুর। 
দক্ষিণ ধূপাটিলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুবায়েল আহমদ, কেছুলুটি গ্রামের সমাজকর্মী দুরুদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও অতিথি পাখির বিচরণস্থল ছিল দেওছড়া খাল ও বিল। ভরাট হওয়ায় পর্যাপ্ত পানির অভাবে এখন পাখি আসে না। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে মৎস্য সম্পদও। দেওছড়া বিল ও জলাশয় খননে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।  
পরিবেশকর্মী নুরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, ছড়াটির জলাশয়ে বিপুল পরিমাণে দেশীয় মাছ এবং শীত মৌসুমে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম তৈরি হয়। ভরাট হওয়ায় ছড়া ও জলাশয়ে এখন আর মাছ ও পাখি দেখা যাচ্ছে না। পানি না থাকায় চাষাবাদেও সমস্যা হচ্ছে। 
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.

শহীদুর রহমান সিদ্দিক বলেন, দেওছড়া খালটি গত বছর খনন করা হয়েছে। খনন করা হলেও সেখানে পর্যাপ্ত পানি নেই। এ কারণে সেখানে আগের মতো মাছ ও পাখির বিচরণ নেই। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ আর নেই

ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

চট্টগ্রামে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন নিজাম উদ্দিন আহমদ। তিনি চট্টগ্রামে নিউ নেশন-এর ব্যুরো প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি রয়টার্স ঢাকা ব্যুরোতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

নিজাম উদ্দিন আহমদের স্ত্রী জানান, তাকে আজ বাদ আসর চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার আধুনগর গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। 

নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, চিটাগং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকার (সিজেএফডি) সভাপতি মুজিব মাসুদ, সহ-সভাপতি কাশেম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন রোকন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্নেল অলির ওপর হামলায় আ’লীগের ২০১ জন আসামি
  • দেশেই ফেসবুক, গুগলের সার্ভার আনার উদ্যোগ
  • গত সরকারের সুবিধাভোগী ৩ জনের আবেদন বাতিল
  • করাতকলে সাবাড় বন
  • সিলেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উত্তোলন
  • সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ আর নেই